নিজস্ব প্রতিনিধি: ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁদের কাউকে কোর্স শেষের সুযোগ করে দিয়েছেন আবার কাউকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কাউকে কাউকে করে দিয়েছেন হাতেকলমে কাজ শেখার ব্যবস্থাও। এবারেও তিনি পড়ুয়াদের পাশেই আবার দাঁড়ালেন। তাঁরা যে ভারতের কোনও ওংশের পড়ুয়াদের থেকে কোনও অংশেই কম নন সেই আত্মবিশ্বাস তো তাঁদের মধ্যে বুনে দিলেনই সেই সঙ্গে দিলেন উপদেশ যাতে তাঁরা নিজেদের দেশকে ভুলে না যায়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কলকাতার(Kolkata) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে(Netaji Indoor Stadium) তিনি যোগ দিয়েছিলেন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড(Student Credit Card) প্রদানের অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি পড়ুয়াদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন। যার অন্যতম ছিল সাফল্যের উচ্ছ্বাসে পড়ুয়ারা যেন তাঁদের নিজেদের দেশের কথা ভুলে না যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আর্থিক বাধায় যাতে কেউ পড়াশোনার সুযোগ না হারান, তাই একাধিক প্রকল্পের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা এখন কন্যাশ্রী পান। তফশিলি, আদিবাসী পড়ুয়ারা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ পান। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াও বঞ্চিত নন। তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পান। বাংলার শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তা বর্তমানে সিবিএসই, আইসিএসই’র সমান। আগে বাংলার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের নম্বরের তফাৎ থাকত। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। এখন ৮০-৯০ শতাংশ পায়। স্ট্যান্ডার্ড এক হয়ে গিয়েছে। বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষায় এক নম্বরে। তবে আমার নতুন প্রজন্মের কাছে একটাই অনুরোধ, কখনও নিজের মাতৃভূমিকে ভুলে যেও না। এই মাটি তোমাকে যা দিয়েছে, যা দিতে পারে তা অন্য কোনও মাটি দিতে পারে না। সবাই যদি চলে যাও ভাই বোনেরা তাহলে দেশে কারা থাকবে? রাজ্যে কারা থাকবে? শিক্ষা কারা চালাবে? তোমরা যাও, কিন্তু ফিরেও এস। মাতৃভূমিকে ভুলো না।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করেন। এছাড়াও এদিন একটি সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই মমতা বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমাদের সরকার রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে। ১৪টি নতুন মেডিকেল কলেজ, ২৭২টি আইটিআই, ১৭৪ পলিটেকনিক, ৭ হাজার স্কুল, ২ লক্ষের বেশি ক্লাস, ৩৮১টি সাঁওতালি মাধ্যম এবং ৪ হাজারের বেশি অন্য ভাষার স্কুল তৈরি হয়েছে। আমরা স্কিল ট্রেনিং দিচ্ছি। আর সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি। জব ফেয়ার হচ্ছে। আমরা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চাকরিদাতাদের মিলিয়ে দিচ্ছি। এর ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি শুধু কংক্রিটের নয়। যত ইন্ডাস্ট্রি হবে তত চাকরি পাবেন তরুণ-তরুণীরা।’