নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীদের দাবি, বাংলায় নাকি কোনও শিল্পই নেই। এখানে নাকি কেউ শিল্প গড়তে আসতে চাইছেনই না। বাংলার ঘরে ঘরে নাকি বেকার ছেলেমেয়েরা বসে আছে। চাকরির সন্ধানে সবাই নাকি দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারত অভিমুখী হয়েছেন। যদিও বাস্তবটা যে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেটা শুধু যে মোদি জমানায় কেন্দ্রের একাধিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে তাই নয়, দেশে বিদেশের একাধিক সমীক্ষার রিপোর্টেও উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে রাজ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরেও বহু পুরষ্কার জিতে নিয়েছে। বিশ্বের তাবাড় তাবড় মঞ্চ কার্যত বাংলাকে কুর্ণিশ জানাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই বাম জমানার শেষে হতশ্রী ও দেনায় ডুবে থাকা বাংলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে গত এক দশকে বাংলার চেহারাটাই বদলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আয় বাড়িয়েছেন বাম জমানার তুলনায় কার্যত চারগুণ। সেই সঙ্গে বাংলা থেকে বিদায় জানিয়েছেন দারিদ্র্যতা ও বেকারত্বকে। কোন পথে সেই সাফল্য এসেছে সেটাই ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের(Bengal Global Business Summit)মঞ্চ থেকে দেশবিদেশের শিল্পপতি ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানালেন, ‘আমি গতকালও বলেছি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পূর্ব ভারতের গেটওয়ে হল বাংলা। আমাদের কাছে ভাল পরিকাঠামো আছে, যা বিশ্বকেও সাহায্য করবে। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা আছে। ভারতে যেখানে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কমেছে। প্রচুর ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন। কেউ বলতে পারেন, ভারতে চাকরি যাচ্ছে, যেখানে ভারতে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ কীভাবে দারিদ্র্যতায় ইতি টেনেছে? বাংলা কীভাবে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছে? বাংলা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছে। এটা সম্ভব কীভাবে? কারণ আমাদের ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প(MSME)। সেখানে প্রচুর মানুষ কাজ করছেন। এটা দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন। রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে শিল্প ক্লাস্টার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক(Industrial Park) গড়ে উঠেছে। সেখানে অনেকে চাকরি পাচ্ছেন। এখন বানতলা থেকে শুরু করে পাঁচলা – কত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আছে। সেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মাধ্যমে ছোটো শিল্প গড়ে উঠেছে। ৫,২১০ টি ক্লাস্টার(Cluster), ২০০ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আছে। সিলিকন ভ্যালিও আছে। সেখানে ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের উত্থান এত আকর্ষণীয়।’