এই মুহূর্তে




ওড়িশার দুর্ঘটনায় টুইটে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর




নিজস্ব প্রতিনিধি: ওড়িশা(Odisha) ও অন্ধ্রপ্রদেশে বেড়াতে গিয়ে এ রাজ্যের ৬জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর(Udaynarayanpur) থানার সুলতানপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই ৫জন বাসিন্দা মঙ্গলবার গভীর রাতে এক বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মারা গিয়েছেন হুগলি জেলারও এক বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে ৪জনই আবার মহিলা। সেই দুর্ঘটনার জেরে এবার টুইট(Tweet) করে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে জানালেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজার(Samir Panja) নেতৃত্বে রাজ্যের একটি দল এদিনই রওয়ানা দিয়েছে ওড়িশার পথে। তাঁরাই আহতদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহও দ্রুত এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘ওড়িশায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওডিশার গঞ্জম থেকে ভাইজ্যাকে যাচ্ছিল বাসটি। দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগছে। রাজ্য সরকার ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আহতদের যাতে তাড়াতাড়ি রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও উদয়নারায়ণপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ যদিও উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উনি মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছেন। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৬টি মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সামান্য আহত ৪০ জনকে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বাসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওড়িশার দারিংবাড়ি থেকে কলিঙ্গঘাট হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম যাওয়ার পথে মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ বাংলার পর্যটক বোঝাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় বাসের ৭৭জন যাত্রীই কার্যত গভীর ঘুমে ছিলেন। দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রায় সকলেই সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। যারা মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন মৌসুমি দেড়ে(৪০), রিমা দেড়ে(২২), সুপ্রিয়া দেড়ে(৩৩), সঞ্জীব পাত্র(৩৪), বর্ণালী মান্না(৩৪) ও স্বপন গুছাইত(৩৯)। কার্যত ঘুমের মধ্যেই এরা মারা যান। এদের মধ্যে স্বপনবাবুর বাড়ি হুগলি জেলায়। তিনি রাঁধুনি হিসাবে ওই দলটির সঙ্গে গিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার অবশ্য এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা তা জানায়নি। ওড়িশা সরকারের তরফেও ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কাজে ফিরুন’, চিকিৎসকদের কাছে ফের আর্জি মমতার

ভেস্তেই গেল জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক, নবান্ন ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

এসমা প্রয়োগ করছেন না , স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মমতা

‘পদত্যাগ করতেও রাজি, চাই তিলোত্তমা বিচার পাক’, জানিয়ে দিলেন মমতা

‘জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষতি’,ইয়েচুরির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার

‘শকুনের রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি, রাজনৈতিক উস্কানি থেকে দূরে থাকুন’, বার্তা তৃণমূলের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর