এই মুহূর্তে

রাজ্যে ৩৫০০’রও বেশি মাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের হয়নি রেজিট্রেশন

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছর ২৯ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(WBBSE) জানিয়েছিল ২০২৪’র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিলির সময়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ১০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে(Non-Judicial Stamp Paper) এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে যে, ২০২৫’র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন(Registration) আর বাকি নেই। পর্ষদের শর্ত মেনে যে সব স্কুল এই মুচলেকা দেবে না, তাঁদের পড়ুয়াদের আগামী বছরের অ্যাডমিট কার্ড পেতে বিলম্ব হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। মুচলেকা দেওয়া নিয়ে পর্ষদের সঙ্গে স্কুলগুলির লড়াই গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টেও(Calcutta High Court)। কিন্তু কিবা সিঙ্গেল বেঞ্চ কিবা ডিভিশনাল বেঞ্চ, দুই জায়গাতেই জিতেছে পর্ষদ। অথচ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের ২ সপ্তাহ পরেও দেখা যাচ্ছে বাংলার বুকে ৩৫০০’র বেশি মাধ্যমিক স্কুলের ২৫’র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। হিসাব বলছে পর্ষদ অনুমোদিত রাজ্যের মোট স্কুলের এক-তৃতীয়াংশই রেজিস্ট্রেশন বকেয়া ফেলে রেখেছে। আর তাতেই চিন্তা বাড়ছে পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাঁদের অভিভাবকদেরও।

পর্ষদের নোটিসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিল Advance Society for Headmasters and Headmistresses বা ASFHM। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলা যখন উঠেছিল তখন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছিলেন, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যকরী করতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। দেন। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল ASFHM। কিন্তু সেখানেও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২২ ফেব্রুয়ারি জানিয়ে দেয় দ্রুত পর্ষদের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে সেই নির্দেশের পরে ২ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে, অথচ রাজ্যের ৩৬০১টি স্কুল ১ মার্চ পর্যন্ত আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন জমা করেনি বলেই পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক স্কুলের বিরুদ্ধে এখন আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির দাবি, পর্ষদের মুচলেকার বয়ানেই তাঁদের আপত্তি। স্কুল সব পড়ুয়ার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেও পারছে না। কারণ কোভিড-পরবর্তী পর্যায়ে অনেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে চলে যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, জেলায় কুয়াশার প্রভাব থাকবে

মানিকতলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাবঘরে একাধিকবার ধর্ষণ যুবতীকে

তরুণ ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু, এসএসকেএমে বিক্ষোভ পরিবারের

টার্গেট অভিজাত আবাসন, চায়ের দোকানে বসেই মাত্র ১৯ বছরেই লক্ষাধিক টাকার মালিক

ফের পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপট, কবে মিলবে শীতের আমেজ, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের  

নিউমার্কেট এলাকায় বেআইনি হকারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামল কলকাতা পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর