এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাস্তা চওড়া হয়েছে, গাছগুলো সব কাটা পড়েছে, অচেনা জাতীয় সড়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি: বারাসত(Barasat) থেকে সন্তোষপুর মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা। সেই রাস্তাই চওড়া করেছে Nartional Highway Authority of India বা NHAI। কেননা রাস্তাটি ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক যাকে জেলার মানুষ তো বটেই বাংলার মানুষও ৩৪ নম্বর জাতীয় বলেই চেনেন। সেই রাস্তার দুইধারে ছিল বহু প্রাচীন সব গাছ(Old Trees)। রাস্তা চওড়া করায় সেই সব গাছ কাটা পড়েছে। সরকারের আইন বলছে, এই ধরনের ১টি গাছ কাটা পড়লে সেখানে ৫টি গাছ লাগানোর কথা। কিন্তু সেই গাছে কে লাগাবে আর কোথায় লাগাবে সেটাই এখনও ঠিক হয়নি। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই পক্ষেই একে অপরের ঘাড়ে দোষ ঠেলছে। মাঝখান থেকে এলাকায় বেড়ে গিয়েছে দূষণ। যার শিকার হচ্ছেন আমজনতাও। আদৌ এখন জাতীয় সড়কের দুইধারে গাছ লাগানো হবে কিনা সেটাই প্রশ্ন ও সংশয় হয়ে ঘুরছে এলাকার মানুষের মুখে মুখে।

আরও পড়ুন মন্দারমণি গেলে এই জিনিস দেখতে ভুল করবেন না…

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দুইধারেই দু’দশক আগেও ছিল সবুজে ঘেরা। রাস্তার দু’পাশে ছিল প্রাচীন বহু গাছ। চৈত্র-বৈশাখের প্রখর রোদের মধ্যেও এ পথ ছিল যাতায়াতের পক্ষে আরামদায়ক। তাপমাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকত এই রাস্তায়। চোখেরও আরাম হত যাত্রীদের। বিকেল হতেই শোনা যেত পাখিদের কিচিরমিচির। কিন্তু এখন সেই ছবিটাই আমূল বদলে গিয়েছে। রাস্তা চওড়া করে যানবাহনের গতি বাড়াতে ও যানজট কমাতে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। আর সেই রাস্তা চওড়া করতে গিয়েই কাটা পড়েছে হাজার হাজার গাছ। যশোর রোডে গাছ কাটা নিয়ে মামলার সময়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ কাটার প্রসঙ্গ আদালতে তোলা হয়েছিল। সরকার বিকল্প বনসৃজনের জন্য কী ব্যবস্থা করেছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সে সময়ে দেখা যায়, সরকার যে জমিতে গাছ লাগানোর কথা বলেছে, সে জমির কোথাও আছে পাকাবাড়ি, কোথাও চাষের জমি, কোথাও জলা জমি। তাই সেই সব সরিয়ে গাছ আজও লাগানো হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যে গাছগুলি কাটা পড়েছে, সেগুলি সবই প্রাচীন গাছ। তাদের কোনওটার বয়স ১০০ বছর, কোনটার ১৫০ বছর, কোনওটার ২০০ বছর।

আরও পড়ুন বঙ্গের পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবে IIM

গাছ কাটা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) যে মামলা হয়েছিল সেখান রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, বারাসত থেকে বহরমপুর পর্যন্ত ১৯,৭৭৫টি গাছ কাটা হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগের বয়স ১৫০ বছর পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গাছ না লাগানোয় এখন কী সমস্যা হচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখন রাস্তা চওড়া হওয়ায় প্রচুর গাড়ি বেড়েছে। ফলে দূষণ(Pollution) ছড়াচ্ছে। ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় চাষবাসে। বেড়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। তাহলে এই ছবি কী বদলাবে না? স্থানীয় বাসিন্দারাই সে ভাবে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না। কেননা তাঁদের দাবি, গাছ লাগানোর জন্য রাজ্য সরকার এখনও জমিই তৈরি করতে পারেনি। সরকার পরিবেশ বাঁচাতে গাছ লাগানোর কথা বলে। প্রচার করে। অথচ, নিজেরাই সেই কাজটা করে না। মঞ্চ বেঁধে গাছ বিলি করা হয়। পরিবেশ মেলা হয়। সেখান থেকেও গাছ বিতরণে করেন মন্ত্রী-সান্ত্রীরা। অথচ, কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাস্তার ধারে যে সব মানুষের জমিজমা আছে, তাঁদের নিজেদের উদ্যোগেই গাছ লাগানো উচিত এখন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর