এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সংক্রমণকে সঙ্গী করেই ভিড় বাড়ছে সোনাগাছিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠে দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। একটা উদ্বেগের, অন্যটা আশার। উদ্বেগ সংক্রমণ বাড়ার জন্য। আর আশার আলো, ভিড় বাড়ছে সর্বত্র। তা সে খদ্দের হোক কী তাঁদের খুশি করতে রাস্তায় দাঁড়ানো মেয়েদের সংখ্যা। ছবিটা সোনাগাছির। সেখানে কোভিড সংক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে পরিষেবা নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও, যা বলে দিচ্ছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ থামাতে পারেনি সোনাগাছিকে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সেখানে পরিষেবা দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ রোজগারের উদ্দেশ্যে মেয়েদের ভিড় বেড়েই চলেছে। নতুন মুখের ভিড়ই সেখানে বেশি। এদের একটা বড় অংশই স্বেচ্ছায় এসেছে পরিবারের কাছে একটু বাড়তি টাকা পাঠানোর জন্য। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’ মাধ্যমে।

জানা গিয়েছে, কোভিড সংক্রমণের প্রথম ঢেউ ও দেশজোড়া লকডাউনের ধাক্কায় দুই বছর আগে প্রায় ভেসে গিয়েছিলেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। ঘরভাড়া দিতে না পেরে অনেকেই সোনাগাছি ছেড়ে ফিরে গিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। অনেকে অন্য কোনও কাজে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেউই কোনও জায়গাতেই বেশিদিন থিতু হতে পারেননি। কিছুটা পেটের দায়ে আর বেশির ভাগটা সামাজিক বিড়াম্বনার জেরে তাঁরা ফের ফিরেছেন সোনাগাছিতেই। খদ্দের ধরতে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন রাস্তার মধ্যে। ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’র তথ্য বলছে, গতবছর কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সোনাগাছিতে পুরোপুরি থাবা বসাতে পারেনি। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও সেই সময় কাজ করে গিয়েছেন সেখানকার মহিলারা। এবারেও ছবিটা ভিন্ন কিছু নয়। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রোজগার কিছুটা অবশ্যই কমেছে সোনাগাছির মহিলাদের। তবে তাঁরা কেউ থেমে যাননি। অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে। তবে কারোরই সে অর্থে বাড়াবাড়ি কিছু হচ্ছে না। ৩-৪ দিনের জ্বর, সর্দি আর কাশিতেই মিটে যাচ্ছে কোভিডের প্রকোপ।

তবে দুর্বারের উদ্বেগ অন্য জায়গায়। কোভিডের মধ্যেও সোনাগাছির থেমে না যাওয়াটা যদি আশার আলো হয় তবে উদ্বেগ অবশ্যই নতুন মেয়েদের ভিড় বেড়ে যাওয়া। দেখা যাচ্ছে এই সব নতুন মহিলাদের একটা বড় অংশই কলকাতার আশেপাশের জেলার বাসিন্দা। তাঁরা প্রায় সকলেই পরিচারিকার কাজ করতেন। কিন্তু কোভিডকালে আয় কমেছে মধ্যবিত্তের। তার জেরে কোপ পড়েছে পরিচারিকাদের কাজে। তার জেরেই কাজ হারিয়ে পেটের দায়ে, পরিবারের মুখ চেয়ে অনেকেই চলে এসেছেন সোনাগাছিতে রোজগারের আশায়। নিত্যদিন তাঁরা না এলেও সপ্তাহে ৪-৫দিন তাঁরা আসেন। খদ্দের ধরে পরিষেবা দিয়ে টাকা রোজগার করে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে। এই ছবিটা কিন্তু মোটেও আশার ছবি নয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাংসদ হিসাবে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে শুক্রে মনোনয়ন জমা অভিষেকের

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

২০২৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কবে থেকে, জেনে নিন

উচ্চ মাধ্যমিকে সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে হুগলি

রাজ্য জুড়ে পালিত রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর