নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে পোশাক সংক্রান্ত ফতোয়া। রীতিমত কলেজে ভর্তির আগে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের লিখিত মুচলেকা দিতে হচ্ছে। ‘ ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরবনা’, লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয়ে চরম বিতর্ক। সাবালক পড়ুয়াদের পোশাক সংক্রান্ত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মিন্টো পার্কের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘‘আমরা গত বছর নোটিস দিয়েছিলাম। সে নিয়ে বিতর্কও হয়। এর পরেও দেখা যাচ্ছে, দু’-এক জন পড়ুয়া কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া জিন্স পরে চলে আসছেন কলেজে। আমি যে হেতু মনে করেছি এটা অশালীন, কোনও ভাবেই অনুমতি দেব না। তাই শৃঙ্খলা আরও কড়া করার লক্ষ্যে নতুন ভর্তি হওয়ার সময়েই ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের এফিডেভিট ফর্মে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’’
পড়ুয়াদের পোশাক সংক্রান্ত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাইরে কেউ ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারেন। কলেজে ঢুকলে আমার নিয়ম, আমার শৃঙ্খলা। আমি যেটা শালীনতা বলে মনে করব, সেটাই মেনে চলতে হবে সকলকে।’’
কলকাতার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং এর অভিযোগ উঠেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর পর র্যাগিং এর অভিযোগ আরও বিশেষভাবে উঠে এসেছে। এই র্যাগিং নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘র্যাগিংয়ে কোনও পড়ুয়া যুক্ত থাকলে তাঁকে কলেজ থেকে আমি বার করে দেব। ভর্তির ‘ফি’ও ফেরত দেওয়া হবে না ।’’কলেজগুলিতে মূলত পড়ুয়ারা নিজেদের পছন্দসই পোশাক পড়েন। খোদ কলকাতার বুকে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যন্ত এধরণের নিয়ম দেখা যায়নি বলেই মত অনেকের।