এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার বুকে জাতীয় জল জীবন মিশন প্রকল্পেও নজরদারির ব্যবস্থা কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) ২০২৪-এর মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারে পাইপ বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট জাতীয় জল জীবন মিশন(National Jal Jiban Mission) প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সমপরিমাণ টাকা দিয়ে থাকে। কয়েক মাস আগে রাজ্যকে জল জীবন মিশনে মোট ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। কেননা দেশের মধ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণে প্রথম হয়েছিল বাংলা(Bengal)। গত অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট ২৩ লক্ষ বাড়িতে জলের পাইপলাইন পৌঁছে গিয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। বাংলার পরেই ছিল ওডিশা ও বিহার। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি(BJP)র নেতারা দাবি তুলেছেন এই প্রকল্পেও বিস্তর দুর্নীতি নাকি হয়েছে বাংলায়। সেই দাবির জেরেই এবার বাংলার বুকে জাতীয় জল জীবন মিশন প্রকল্পেও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার(Central Government)। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই প্রকল্পে নজরদারি ও সমীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে খুব একটা আমল দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন পাহাড় নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী ও অনীত থাপার

২০২১-২২ অর্থবর্ষে পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় পৌঁছে দেওয়ার কাজে দেশে বাংলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সেই সূত্রেই কয়েক মাস আগে মোদি সরকার বাংলার বুকে এই প্রকল্পের কাজ আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্ত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে, কিন্তু বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দাবি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্প রূপায়ণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় প্রকল্প রূপায়ণের পরে তা রাজ্য সরকারের প্রকল্প বলে চালান হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। সেই অভিযোগের জেরে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের জন্য টাকা আটকে না রাখলেও প্রকল্পের রূপায়ণের ক্ষেত্রে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে কোনও প্রতিষ্ঠিত এজেন্সিকে বরাত দেওয়া হবে। তাঁরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে আসল ছবি তুলে আনবে। সমীক্ষা করে দেখা হবে, বসত বাড়ি, স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে ট্যাপ কানেকশন দেওয়া রয়েছে, তার জলের পরিমাণ এবং গুণগত মান সঠিক রয়েছে কি না। সংশ্লিষ্ট বাড়ির সদস্যদের মতামত নেওয়া হবে। দেখা হবে জল নির্দিষ্ট সময়ে আসছে কি না। সমীক্ষা-রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী বছরের পরিকল্পনা তৈরি হবে। প্রত্যেক মাসে বা পনেরো দিন অন্তর প্রতিটি জেলার ‘পারফর্ম্যান্স’ যাচাই করা হবে। এই মর্মেই রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের ভাবনা নবান্নের

কেন্দ্র এটাই জানিয়েছে, সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। জাতীয় জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে যে বিশাল জলের পাইপলাইন বসানো হচ্ছে, তার ওপরে সর্বক্ষণ নজরদারি চালানোর জন্য জিআইএস বা জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সিস্টেম মানচিত্রও তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্র। এর সাহায্যে কোথায় কোন ধরনের জলের পাইপলাইন রয়েছে, সেটা মুহূর্তের মধ্যে বোঝা যাবে। পাইপলাইনে কোথাও ছিদ্র তৈরি হলে মেরামতে সুবিধাও হবে।অযদিও কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপ ও নির্দেশকে খুব একটা আমল দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্র যত খুশি নজরদারি চালাতে পারে। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। দিল্লির আধিকারিকরা এখানে এসে দেখে যান, আমরা কত ভালো কাজ করেছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর