নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডকালে বাংলার(Bengal) স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের Online-এ পড়াশোনা করতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ‘তরুণের স্বপ্ন’(Taruner Swapna) প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের হাতে ট্যাব(Tab) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তা বজায় রাখা হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য। এবার সেই পথে হেঁটেই রাজস্থানের(Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট(Ashok Gehlot) মরু রাজ্যের ৪০ লক্ষ মহিলাকে স্মার্ট ফোন ও তার সঙ্গে ৩ বছরের বিনামূল্যের ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া সিদ্ধান্ত কতখানি সঠিক ছিল।
আরও পড়ুন নিখোঁজ বর্গাদারদের টাকা জমা থাকবে ট্রেজারিতে, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
কার্যত শুধু গেহলটই নয়, দেশের একাধিক রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে বাংলার বুকে মমতার চালু করা একের পর এক প্রকল্পকে অনুসরন বা অনুকরণ করে অন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হচ্ছে। কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অনুকরণ করে প্রকল্প চালুর কথা বলা হচ্ছে আবার কোথাও স্বাস্থ্যসাথীর আদলে প্রকল্প আনা হচ্ছে। কোথাও আবার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অনুসরণও করা হচ্ছে। আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা প্রকল্পগুলির হাত ধরে রাজ্যের প্রান্তিক, নিম্নবর্গ, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলি যেভাবে উপকৃত হয়েছে এবং তার হাত ধরে যেভাবে বাংলার আর্থসামাজিক ক্ষেত্র উন্নতির মুখ দেখেছে তা নজর কাড়ছে দেশ ও বিদেশের মানুষদের। খালি এই উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না অন্ধ মমতা বিরোধিরা। তাই থেকেই থেকেও চলে চক্রান্ত, বাংলাকে অস্থির করে তোলার, রাজ্যের হাত থেকে প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার, বাংলাকে ভেঙে টুকতো টুকরো করার। তারপরেও দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু যে বাংলাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাই নয়, দেশের অনান্য রাজ্যগুলিকেও রাস্তা দেখাচ্ছেন। বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারই হোক কী কোনও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার, তাঁরাও মমতার প্রকল্পগুলিকে অনুসরণ করছেন।
আরও পড়ুন কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চলতি বছরে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘোষণা করে দিয়েছেন যে সামনের আগস্ট মাসে রাখি উৎসবের সময় ৪০ লক্ষ মহিলাকে স্মার্টফোন দেবে তাঁর সরকার। কেবল ফোনই নয়, সেই সঙ্গে সেগুলিতে থাকবে তিন বছরের বিনামূল্যের ইন্টারনেটও! রাজস্থান সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে ‘চিরঞ্জীবী’ প্রকল্পের অধীনে নথিবদ্ধ করা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৫১টি পরিবারকে। এই পরিবারগুলির জন্য বছরে সর্বাধিক ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে গেহলট প্রশাসন। এই সমস্ত পরিবারের মহিলাদেরই পরিবারের প্রধান ধরা হয়েছে। ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা স্বাস্থ্যসাথী(Sasthsathi) প্রকল্পের মতোই। সেই মহিলাদেরই অর্থাৎ মোট ১.৩৫ কোটিরও বেশি জন পাবেন এই স্মার্টফোন। কিন্তু যেহেতু এত অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক ফোন তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই আপাতত ৪০ লক্ষ মহিলাই পাবেন এই উপহার।
