এই মুহূর্তে




সোশ্যাল মিডিয়াতে চূড়ান্ত ট্রোলিংয়ের মুখে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: কথা ছিল বৈঠক হবে ৪৫ মিনিটের। সেই বৈঠকের(Nabanna Meeting) জল গড়ালো ১৩১ মিনিট। মানে ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের(Live Streaming) মাধ্যমে গোটা রাজ্য দেখল, শুনলো সেই বৈঠক। বৈঠক শেষ হওয়ার ঘণ্টা তিনেক পর অনশনও উঠে গেল। তবে জানানো হল বৈঠকে নাকি রীতিমতো ‘থ্রেট’ করা হয়েছে। তাই অনশন তুললেও আন্দোলন বন্ধ হবে না। সে না বন্ধ হোক, তাতে কিছু যায় এসে যায় না কারোরই। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই চূড়ান্ত ট্রোলিং শুরু হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ট্রোলিংয়ের(Trolling on Social Media) নিশানায় কারা? না, জুনিয়র আন্দোলনকারী ডাক্তাররা(Junior Doctors)। ‘কমিটিতে জায়গা দাও করি আর্দনাদ, তদন্ত সব চুলোই যাক আমরা হতবাক!!!!!’ – এমনই সব লেখা ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। আবার এটাও লেখা হয়েছে, ‘লাইভ স্ট্রিমিং না হলে জানতেই পারতাম না বাঘ কিভাবে বিড়ালে পরিনত হয়।’ এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ধৈর্য ও গোটা বিষয়টি যে সুনিপুণতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন তা দেখে লেখা হয়েছে, ‘প্রমান হলো বাঘিনী হিংস্র নয়। কিন্তু দেখলে ভয় পাবে এবং পেলো। সৎ মানুষের রাশি ভারী হয়।’ তবে সব থেকে বেশি আলোচনা চলছে কমিটি গঠন নিয়েই। যেমন লেখা হয়েছে, ‘কমিটিতে ঢুকতেই হবে, অনশন অজুহাত মাত্র। ভাগ্গিস লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছিল।’

আরও পড়ুন, উপাচার্য বেছে নেওয়ার প্রাথমিক অধিকার আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে

গতকাল নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ ধৈর্য ধরে প্রতিটি দাবি শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যার সমাধানের জন্য সমাধানসূত্রও দিয়েছেন। আইন এবং প্রশাসনের জটিলতার জন্য যে সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, অকপটে সেতাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য ছিল একটাই—জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন থেকে ফিরিয়ে তাঁদের হাত ধরেই সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সুস্থ ও সামাজিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে গোটা রাজ্য দেখল সেই আলোচনা। বৈঠক শেষ হওয়ার ঘণ্টা তিনেক পর অনশন তুলে নিলেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। কিন্তু এর মধ্যেও জানিয়ে রাখলেন, তাঁদের নাকি নবান্ন সভাঘরে রীতিমতো ‘থ্রেট’ করা হয়েছে। তাই অনশন তুললেও আন্দোলন বন্ধ হবে না। যদিও সারা রাজ্যের মানুষ বৈঠক দেখে কোথাও ‘থ্রেট’ করার কিছু খুঁজে পাননি। সব থেকে বড় কথা, আর জি কর হাসপাতালের মূল ধর্ষণ খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে যে আন্দোলন সেই নির্যাতিতার বিচার ন্নিয়েই গতকালের বৈঠকে সেভাবে সরবই হননি জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিবর্তে তাঁরা জোর দিলেন নিজেদের সদস্যদের নানা কমিটিতে ঢুকিয়ে দিতে। নির্যাতিতার সুবিচার অপেক্ষা তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেল নানাবিধ ‘কমিটি’ গঠন এবং তাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্তি।  

আরও পড়ুন, প্রথম দিনের আবাস সমীক্ষায় মাত্র ২০ হাজার বাড়ির রিপোর্ট জমা পড়ল

লাইভ স্ট্রিমিংয়ের হাত ধরে গতকাল সারা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন যে, বৈঠক চলাকালীন সময়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রত্যেকেই প্রায় এক দাবি তুলছেন। পাঁচ রকমের কমিটি তৈরি এবং প্রত্যেকটিতে ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতির দাবি তুলেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য কমিটি গঠনে সামঞ্জস্য রাখার ক্ষেত্রেই বেশি জোর দিয়েছেন। তার পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের প্রত্যেকটি পরামর্শ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। যদিও কমিটি গঠন নিয়ে বারবার একই কথা একাধিক প্রতিনিধি বলতে থাকায় গতকালের বৈঠকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা চড়া সুরেই বলেন, ‘একটা কলেজে কতগুলো কমিটি হবে?’ আর এই সব কিছু দেখেই এখন জুনিয়র ডাক্তারদের ট্রোল করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন, এতদিনের আন্দোলন আর অনশন কী শুধু নিজেদের কমিটিতে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য! তবে রাজ্যবাসী খুশি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায়। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, ডাক্তারদের কাছে অবশ্য অনশন তুলে নেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা ছিলই না। যেভাবে তাঁরা কমিটি কমিটি করে গেলেন গোটা বৈঠকে তা দেখে কেউ বলবে না এরা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন করেছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগামী সোমবার টানা ২১ ঘন্টা জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে মহানগরে

‘জল জীবন’ প্রকল্পের টাকা আগাম নয়, জানিয়ে দিলেন মমতা

গ্রামের রাস্তায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি, নবান্নে জানালেন মমতা

‘কেন্দ্র ব্যবস্থা নিক, হস্তক্ষেপ করুন রাজ্যপাল..’ বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজভবনে দাবি কুনালের

জল চুরিতে কড়া রাজ্য, ২৩ আধিকারিককে শোকজ , জানালেন মমতা

বিধানসভায় রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর