নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একেই হয়তো বলে পুজোয় কলকাতার বাজার। মহালয়ার দিন থেকেই অনেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে। অনেকে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছে। কলকাতায় শুরু হয়েছে পুজো দেখতে বেরোনো। ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে প্রতিপদে রাস্তার যানজট এড়াতে মেট্রোপথই বাঁচোয়া উপায় বলে ধরে নিচ্ছেন মানুষ। আর এই মেট্রোযাত্রীর সংখ্যা শুনলেই রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে উঠবে। চতুর্থীতেই দক্ষিণেশ্বর – কবি সুভাষ লাইনে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ যাত্রী মেট্রোয় চেপেছেন।
কি অবাক হলেন তো? এখনও বোধন হয়নি। আর এখনই এমন ভিড় হলে বাকি দিনগুলি কিভাবে চলবে? মেট্রো স্টেশনগুলিতে গিজগিজ করছে ভিড়। তিল ধারণের জায়গা নেই। চতুর্থীতে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬০ জন যাত্রী নর্থ-সাউথ লাইনের মেট্রোয় চেপেছেন। তৃতীয়াতেও সংখ্যাটা নেহাত কম ছিলনা। ৭ লাখের ওপরে ছিল ভিড়। সবচেয়ে বেশি যাত্রী উঠছে দমদম থেকে। প্রায় সাড়ে ৭৬ হাজার যাত্রী এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেছেন।
এসপ্ল্যানেড, কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে যাত্রীর ভিড় ছিল ৫০ হাজারের উপরে। যা টেক্কা দিয়েছে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের যাত্রীসংখ্যা। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে চতুর্থীতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের বেশি। অন্যদিকে যাত্রী পরিষেবায় পুজোর মরশুমে কোন খামতি রাখছেনা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, কবি নজরুল, কবি সুভাষ, শিয়ালদহ, বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টেশনে অতিরিক্ত আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে ভিড় অধিক থাকতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই আরপিএফ সহ পাঁচটি কুইক রেসপন্স টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা টিমও থাকবে। আপতকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহিলা এবং শিশুদের নিরাপত্তার জন্য মহিলা আরপিএফ থাকবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে অর্থাৎ প্ল্যাটফর্মের হলুদ রঙের রেখা যাতে পার না করতে পারে সেদিকে নজর রাখবে আরপিএফ। মিড-পয়েন্ট শ্যাফ্ট, কুলিং টাওয়ার, পাম্প হাউস, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে টহলদারি চলবে। বিশেষ নজর থাকবে নোয়াপাড়া, টালিগঞ্জ, কবি সুভাষ এবং সেন্ট্রাল পার্ক কার্শেডেও ।