নিজস্ব প্রতিনিধি: মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হতে হল উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার অন্যতম মহকুমা শহর বনগাঁকে(Bongna)। সোম সকালে সেই শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সিপল্লী(Bakshi Pally) এলাকায় রেলগেটের পাশেই থাকা একটি শৌচালয়ে(Public Toilet) বোমা ফেটে(Bomb Blast) মারা গেল ১১ বছরের এক কিশোরের। এদিন সকালে শৌচকর্ম করতে ওই শৌচালয়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। সেই শৌচাগারের ভিতরেই বোমা রাখা ছিল বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিস্ফোরণের পর ওই কিশোরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন ঘন্টায় ১০কিমি গতিতে বন্দে ভারত পার করল বাহানাগা
জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম রাজু রায়। তার বাড়ি বক্সিপল্লী এলাকার কাছেই। বেশ গরীব বাড়ির ছেলে রাজু স্থানীয় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত। এদিন সে তার বাবা প্রশান্ত রায়ের সঙ্গেই ওই শৌচালয়ে গিয়েছিল শৌচকর্ম করতে। ঘটনার কিছু আগে সেই শৌচালয় ছাড়েন প্রশান্তবাবু। ছেলেকে সেই সময় তিনি বলে গিয়েছিলেন, একটি খাবার দোকানে খেয়ে কাজে যেতে। পরে ছেলের খাবারের টাকাও তিনি দিয়ে দেন দোকানটিতে। মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন ছেলেকে সে কথা জানাতে। কিন্তু শৌচালয়ে পৌঁছানোর আগেই বিস্ফোরণের শব্দ পান তিনি। ছুটে গিয়ে সেই শৌচালয়ের সামনে তিনি দেখেন রাজু শৌচালয়ের সামনের ফাঁকা জমির ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শৌচালয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন চতুর্দিকে চাপ চাপ রক্ত লেগে রয়েছে। ফিতরে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে শৌচাগার।
আরও পড়ুন বিস্তারক খুঁজছে বঙ্গ বিজেপি, উঠছে প্রশ্নও
রাজুর বাবা প্রশান্ত রায় জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণের পরও ও টয়লেটের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সম্ভবত বেশিদূর না যেতে পেরে পড়ে গিয়েছিল। আমি গিয়ে ওর দেহ ধরেই বুঝতে পারি, শরীরে প্রাণ নেই।’ ঘটনার জেরে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারাও। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা বোমা শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখল, তা এখনও জানা যায়নি। বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তাঁরা রাজুর দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। স্থানীয়দের দাবি, যত দিন যাচ্ছে এলাকায় ক্রমশ সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে। এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিশ জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তাই বোমা লুকিয়ে রাখতে দুষ্কৃতীরা এই শৌচালয়কেই বেছে নিয়েছিল। তার খেসারতই গুণতে হল ওই নাবালককে।