নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই রাজ্য বিধানসভায়(State Assembly) বাজেট(Budget) পেশ করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। ওইদিন দুপুর ২টোয় রাজ্য বিধানসভায় সেই বাজেট পেশ করবেন তিনি। তবে তার আগে দুপুর ১টায় বিধানসভা ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই ক্যাবিনেট বৈঠকে সেই বাজেট পাশ হবে। বাজেট পেশের পর চন্দ্রিমা মুখোমুখি হবেন সাংবাদিকদের। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও আর্থিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অমিত মিত্র। সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেবেন তাঁরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাজেটের খুঁটিনাটিতে চোখ বুলিয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকার বাংলাকে যতই আর্থিক বঞ্চনা করুক না কেন, রাজ্যে চলা কোনও সামাজিক প্রকল্পই বন্ধ হবে না। উলটে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাতে পারে এবারের বাজেট।
আরও পড়ুন হুগলিতে সেচ প্রকল্পের প্রসার, লাভবান হবেন ৩ হাজার কৃষক
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রে সাধারন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ(Nirmala Sitaraman)। সেই বাজেটে মূলত সরকারি চাকুরিজীবী, মোটা মাইনের বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলেই কার্যত একসুরে দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদই জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি সেই বাজেটে যে আমজনতার জন্য কিছু নেই সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ওই বাজেট পেশের পরে পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের বিজেপি বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলই একসুরে জানিয়েছিল ওই বাজেটে দেশের কৃষক সম্প্রদায় ও নিম্নবিত্তরা চূড়ান্ত ভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। তাই রাজ্য বাজেটে এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কী কী বরাদ্দ করা হয় তা দেখতে সবাই তাকিয়ে আছে। তবে এবারের বাজেটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সামনে সব থেকে কঠিন হতে চলেছে বাজেট ঘাটতি মেটানো। নানা কারণে রাজ্যের কোষাগারে বেশ টান পড়েছে। রাজ্যের নিজস্ব আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা এখন নানা আর্থসামাজিক প্রকল্প চালাতে খরচ হয়ে যায়। তারপরে নিয়ম মতো সব খরচ করে দেখা যায় বড্ডজোর ১০ শতাংশ টাকা হাতে থাকছে অনান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা আমজনতাকে বিকল্প কোন আয়ের রাস্তা দেখান বা রাজ্যকে বাড়তি আয় এনে দিতে পারেন সেটা দেখার জন্য অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন জেলে পার্থ-কেষ্ট-মানিক, Mobile ব্যবহারে কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের
তবে সব থেকে বড় নজর থাকবে মূলত ৩টি বিষয়ের দিকে। এক, রাজ্য সরকার গ্রামের গরীব মানুষদের জন্য নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আনতে চাইছে। সেই সম্পর্কে আগামিকাল চন্দ্রিমা তাঁর বাজেটে কিছু ঘোষণা করেন কিনা তা দেখা হবে। দুই, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ৫০০ ও ১০০০ টাকা দেওয়ার পরিমাণ বাড়ে কিনা সেটা অনেকেই দেখতে চাইছেন এবং তিন, আবাস থেকে পানীয় জল সরবরাহ, মিড ডে মিল, এই বিষয়ে রাজ্য সরকার নিজের কোনও নতুন প্রকল্প সামনে আনে কিনা সেদিকেও সক লে তাকিয়ে থাকবেন।