নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই পুজোয় জনসমাগম হবে তা বলাবাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক প্রশাসন। পুজোয় ট্রাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক ও কর্মীদের একসঙ্গে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। প্রত্যেক পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে এই নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার ।
সোমবার প্রত্যেক পুলিশকর্তা, থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার। উৎসবের মরশুমে যানজট ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ। তাই মানুষের সমস্যা যাতে না হয় তাই তিনি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক ও কর্মীদের একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকি রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীকেই ব্যবস্থা নিতে বলেন। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হলে ট্রাফিক আধিকারিকরাও ব্যবস্থা নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, এবার পুজোর সময় কর্তব্যরত থাকাকালীন পুলিশের মোবাইল ব্যবহারে রাশ টেনেছে লালবাজার। খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করা যাবেনা। এমনকি কাঁধে নিজস্ব ব্যাগ নিয়েও ডিউটি করা যাবেনা বলেই নির্দেশ লালবাজারের।
চতুর্থীর বিকেল থেকে কলকাতায় ট্রাফিক পুলিশ-সহ প্রায় ৮ হাজার পুলিশ দায়িত্বে থাকবে। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত রাস্তায় থাকবে ১৪ হাজার পুলিশ। দায়িত্বে থাকবেন ১৮ জন ডিসি, ৮২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ২৩০ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। ৫১টি ওয়াচ টাওয়ারে নাইট বাইনোকুলার নিয়ে নজর রাখবে পুলিশ। ৭টি ঘাটে হবে ওয়াচ টাওয়ার । ১৬টি কুইক রেসপন্স টিম । ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স। ১৩টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। ৩০টি পিসিআর। ২০টি মহিলা পুলিশের ‘উইনার্স’ টিম থাকবে।