নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীরা যতই দাবি করুক, কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) আনার পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission)। একই মনোভাব রাজ্য সরকারেরও(West Bengal State Government)। তবে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) সুষ্ঠ ভাবে করানোর জন্য ভিন রাজ্যের পুলিশ(Police) আনানোর কথা ভাবছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই তার জন্য নবান্ন থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে সেই সব রাজ্য থেকে আদৌ পুলিশ মিলবে কিনা বা মিললেও ঠিক কত সংখ্যক তার হিসাব মেলেনি। কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছেও আদালত জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তারা কী ভাবছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আদালতে কমিশন ও রাজ্যের তরফে ভিন রাজ্যের পুলিশের আনানোর বিষয়টি জানানো হবে। একই সঙ্গে কংগ্রেস সূত্রেও জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন জাতীয় পতাকা হয়ে গেল হাত পাখা , কাঠগড়ায় বার্লা
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী আনার রাস্তা খোলা রাখছে সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের অনুমান, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য থেকে বাহিনী চাইতে পারে নবান্ন। রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের মূল শক্তির কত জনকে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করা যাবে, সেই সমীক্ষা চলছে। আশা করা যায়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা পুলিশবাহিনীকে সেই সব জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা সব বুথকে স্পর্শকাতর ধরে নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে কমিশন। এখন রাজ্য পুলিশে কর্মী ও আধিকারিকদের সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার। শীঘ্রই আরও ৮ হাজার নতুন কর্মী যোগদান করতে পারেন বাহিনীতে। সময়ের মধ্যে তাঁরা যোগদান করলে তাঁদেরও ভোট-নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হতে পারে। কলকাতা পুলিশের সংখ্যা কমবেশি ৩০ হাজার।
আরও পড়ুন SFI ছাড়ার অপরাধে নগ্ন করে মার ছাত্রকে, তোলা হল ভিডিও
কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন হচ্ছে, পঞ্চায়েতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। প্রতিটি বুথে ২ জন করে পুলিশ নিয়োগ করতে হলেও প্রায় ১.২৩ লক্ষ পুলিশকর্মীর প্রয়োজন। এ ছাড়াও সাধারণ আইনশৃঙ্খলা, তল্লাশি, ফ্লাইং স্কোয়াড, মোবাইল নিরাপত্তা ইত্যাদি ব্যবস্থাপনায় আরও পুলিশ দরকার হবে। স্ট্রং-রুম রক্ষার জন্যও অনেক সংখ্যায় পুলিশ প্রয়োজন। হোমগার্ডদের সাধারণত লাইন দেখাশোনার কাজে লাগানো হয়। সিভিক পুলিশকে ভোটে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য। আবার সব থানা ফাঁকা করে পুলিশকে ভোটে লাগানোও সম্ভব নয়। কলকাতা পুলিশের থেকে চার-পাঁচ হাজার জনকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হলেও ঘাটতি মিটবে না। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট সুষ্ঠ ভাবে হবেও না।