নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পুরনিয়োগ দুর্নীতির(Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED বা Enforcement Directorate। সেই সূত্রেই তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার(Barracpur Sub Division) টিটাগড় পুরসভার(Titagarh Municipality) প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর(Prashanta Chowdhury) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। সেই সঙ্গে তাঁকে তদন্তের স্বার্থেই সল্টলেকের CGO Complex-এ থাকা নিজেদের কার্যালয়ে ২ দফায় ডেকে পাঠিয়ে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন ED’র আধিকারিকেরা। কিন্তু এদিন অর্থাৎ বুধবার সেই প্রশান্তবাবুই হুট করে ফের ED’র কার্যালয়ে চলে আসেন। কার্যত বিনা তলবেই তিনি ED’র অফিসে চলে আসায় ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা অবাকই হন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল পড়ে যায়। যদিও কিছুক্ষণ পরেই সেখান থেকে বেড়িয়ে যান প্রশান্তবাবু। ED’র তলব ছাড়াই এদিন কেন CGO Complex-এ আগ বাড়িয়ে চলে যান প্রশান্তবাবু, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে সকলের কাছে।
যদিও CGO Complex-এ থাকা ED’র কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে প্রশান্তবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আবার তাঁকে কবে হাজিরা দিতে হবে, তা জানতে গিয়েছিলেন। ইডি আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এদিন সকাল ১০টার পর ED’র কার্যালয়ে আসেন প্রশান্ত। কিছুক্ষণ পরে বেরিয়েও আসেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে প্রশান্ত বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি। আমি এসেছিলাম, আমাকে আবার কবে ডাকা হবে, সেটা জানতে। ওঁরা বললেন, ফোন করে পরবর্তী হাজিরার তারিখ জানিয়ে দেবেন। আমার বাড়িতে তল্লাশির সময় আমার সামনেই ২টি মোবাইলের সিল খুলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ED। ‘‘আমার সামনেই মোবাইল খোলা হয়েছে। আমার সামনেই আবার সিল করা হয়েছে। সেখান থেকে কী তথ্য ইডি পেয়েছে আমি জানি না। আমি যখন টিটাগড় পুরসভার প্রধান ছিলাম, তখন ২৪০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত নথিগুলি জমা দিতে হচ্ছে।’