নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ফলে প্রশাসনিক অসুবিধা হবে।’ তাই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। উল্লেখ্য সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে ড. মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দেন। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার দুপুর দু’টোর মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এদিন বিচারপতি তাঁকে কিছু প্রশ্ন করবেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তাঁকে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির(Primary TET Scam) মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে সোমবার অপসারণের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু নথি চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, সেই নথি পেশ করা হয়নি পর্ষদের তরফে। বরং আদালতকে ভুল পথে চালনা করেছিল। যার দায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি্র অভিযোগ ওঠে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। এর পর ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই অনেকে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা। হাই কোর্টের নজরদারিতে সেই দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।