নিজস্ব প্রতিনিধি: ধারালো বস্তু দিয়ে নিজের পেটে একের পর এক আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরপগোল পড়ে গিয়েছে সংশোধনাগারে।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই বন্দির নাম রইস কুরেশি। ৫০ বছর বয়স তাঁর। শুক্রবার রাত প্রায় ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই বন্দি জেল কুঠুরির মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ধারালো বস্তু দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি চারটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা রইস। আদালত তাঁকে আগেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। কিন্তু আচমকা কেন শুক্রবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ওই দৃশ্য দেখার পর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কর্তব্যরত কর্মীরা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কেন কুরেশি এমন করার চেষ্টা করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে ৫০ বছর বয়সী বন্দি।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বন্দি পালানোর উদ্দেশ্যেও নিজের পেটে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে থাকতে পারে। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। সাজাপ্রাপ্ত বন্দির কাছে কীভাবে ধারালো বস্তু পৌঁছল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেল কর্তৃপক্ষও।