নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর দুই দিন। প্রায় ৭০ কিমি বেগে ঝড় সঙ্গে বৃষ্টি(Rain)। আর এই জোড়া ঘটনাই কলকাতার(Kolkata) পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) জেলাগুলিতে এক ধাক্কায় পারা অনেকটাই নীচে নামিয়ে দিতে পেরেছে। কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, কমছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। বাড়িতে বাড়িতে এসি’র চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে। ফলে রাজ্যে বিদ্যুতের যে চাহিদা বেড়েছিল তা এই দুই দিনে কিছুটা হলেও কমেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফৎর জানিয়েছে, সোমসবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পুরোদমে। রবিবার রাতে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলির পাশাপাশি নিম্ন গাঙ্গেয় অববাহিকার একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। খাস কলকাতায় রবি রাতে কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড় ধেয়ে এসেছে ৬৯কিমি বেগে।
পরপর দুই দিনের ঝড়বৃষ্টির জেরে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে গনগনে তাপ অনেকটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। জেরেই দহনজ্বালা থেকে অনেকটই রেহাই পেয়েছেন আমজনতা। এই অবস্থায় সোম সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিনও দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আর এই লাগাতার ঝড়বৃষতির দৌলতে আগামী তিনদিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা র্যেছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
সোম সকালে খাস কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একধাক্কায় ৪ ডিগ্রি কমে হয়েছে ২১.৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। মনে করা হচ্ছে এদিন বিকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও পারা নেমেছে। আবহাওয়া দফৎরের দাবি, আগামী ৪ মে অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত এই ঝড়বৃষ্টি চলবে। তাই পারা আরও কিছুটা নামার সম্ভাবনা থাকছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই।