নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের রবিনসন স্ট্রিট(Robinson Street) কাণ্ডের ছায়া কলকাতায়(Kolkata)! মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন ছেলে। এর আগে বাবার মৃত্যুর পরও মা ও ছেলে দেহ আগলে বসেছিলেন। সোমবার গড়ফার(Garfa) কে পি রায় লেনের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মৃত বৃদ্ধার দেহ। একইসঙ্গে ওই ঘর থেকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছেলেকে। ছেলে কৌশিক দে(Kaushik Dey)-কে চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬৫ বছর বয়সী মৃত বৃদ্ধার নাম অরুণা দে। ঠিক কবে তিনি মারা গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত তিন দিন আগে মারা গিয়েছেন বৃদ্ধা। মৃত্যুর পর থেকেই মৃতদেহ আগলে বসে ছিলেন ছেলে। পুলিশ মনে করছে তিন দিন ধরে কিছু খাননি ছেলে কৌশিক দে। সেই কারণে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় সাতদিন ধরে মৃত বৃদ্ধার বাড়িতে বেশি আলো জ্বলছিল না। বাড়ির লোকের কারও সাড়া শব্দও মিলছিল না। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর গড়ফা থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করেন মৃতদেহ ও বৃদ্ধার ছেলেকে। প্রসঙ্গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও একই ভাবে বাবা সংগ্রাম দে(Sangram dey)-র দেহ আগলে বসেছিলেন মা ও ছেলে। সংগ্রামবাবু ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট(Bhabha Atomic Research Institute)-এ চাকরি করতেন। অবসর নেওয়ার পর মূলত তাঁর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত। বাবা মারা যাওয়ার পর মাও অর্ধেক পেনশন পেতেন। জানা গিয়েছে ছেলে কৌশিক আংশিকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন। বছর ঘুরতে না ঘুরতে একই পরিবারে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল আবার।