নিজস্ব প্রতিনিধি: আর কত নীচে নামবেন বাংলার বিজেপির(Bengal BJP) নেতারা। নামতে নামতে মনুষ্যত্ববোধটা তাঁরা আগেই হারিয়ে ফেলেছেন। এবার কী লাজলজ্জা শরমটাও বিসর্জন দেবেন! এই প্রশ্নটা উঠেই গেল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ের(Tathagata Roy) ২টি ট্যুইটের জেরে। সেই ট্যুইটে তিনি দাবি করেছেন পুরুষের গোপনাঙ্গ(Penis) দেখে তবেই যেন নাগরিকত্ব(Citizenship Granting) প্রদান করা হয়। কেননা তাঁর আশঙ্কা বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক সংখ্যালঘু মানুষই হিন্দু নাম ও পদবি ব্যবহার করে ভুয়ো নথি দাখিল করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারে। শুধুমাত্র হিন্দু হিসাবে তাঁদের খালি চোখে দেখে যদি কাছা খোলা হারে তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে CAA’র আসল উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই নাগরিকত্ব দেওয়া হোক নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী পুরুষের মেডিকেল চেকআপের ভিত্তিতে। একজন পুরুষ চিকিৎসকই সেই পুরুষ আবেদনকারীর লিঙ্গ পরীক্ষা করে দেখুক, যে তিনি ‘খুৎবা’ করিয়েছেন নাকি করাননি। না করালে অবশ্যই তাঁকে যেন নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলাও সেই ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পাওয়া বা না পাওয়ার অধিকারী হোক।
তথাগতের দাবি, যেহেতু পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এদেশে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈনদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য CAA বা Citizenship Amendment Act, 2019 লাগু করা হয়েছে এবং সেখানে যেহেতু মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনও কথা বলা হয়নি, তাই এটা ভারত সরকারকে দেখতে হবে যাতে কোনও মুসলিম যেন হিন্দু সেজে বা নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করে নাগরিকত্ব না পেয়ে যায়। আর সেই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তাঁরা হিন্দু নাম, পদবি ব্যবহার করার পাশাপাশি ভুয়ো নথিও ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তাঁরা যেটা লুকিয়ে রাখতে পারবে না তা হল ‘খুৎবা’। তাই CAA’র জন্য প্রত্যেক পুরুষ আবেদনকারীকে যেন আবশ্যিক ভাবে মেডিকেল চেকআপ করা হয়। একজন পুরুষ চিকিৎসক যেন সেই চেক আপ করেন। তিনি যদি দেখেন যে আবেদনকারীর হিন্দু নাম কিন্তু ‘খুৎবা’ হয়েছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যেন সেই আবেদনকারীর আবেদন বাতিল করা হয়। ‘খুৎবা’ না করা থাকলে যেন আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনকারীর সঙ্গে থাকা মহিলা নাগরিকত্ব পাবেন কী পাবেন না সেটাও যেন ওই পুরুষ আবেদনকারীর ‘খুৎবা’র ওপর নির্ধারিত হয়। তথার এই দাবি ঘেরা ট্যুইট ঘিরেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। সরব হয়েছে তৃণমূলও।