নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদেশে পড়তে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে বাংলার তরুণীর। যে দেশে সে পড়তে গিয়েছিল, সেই দেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল ভারতীয় দূতাবাসকে। সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। এরপর সিআইডি’র ভবনীভবন থেকে ৩ দিন আগে ইমেল করে ওই তরুণীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তরুণীর দেহ আদৌ এই দেশে ফেরানো হবে কিনা বা ফেরানো হলেও কীভাবে তা ফেরানো হবে সেই বিষয়ে ওই তরুণীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি। এই অবস্থায় ওই তরুণীর মায়ের কাতর আর্জি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) যাতে রাজ্য সরকার ও ভারত সরকার তাঁর মেয়ের দেহ বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। ওই তরুণীর বাড়ি রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর(Durgapur) শহরের ডিপিএল কলোনিতে। তরুণীর নাম রোশনি দাস(Roshni Das)। সুইডেনের উনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Integrated Medical Biology-তে PhD করতে গিয়েছিল সে। রোশনির বাবা ছিলেন ডিপিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। সেই সময় বাড়ি ফিরেছিলেন রোশনি। এবার ফিরবে তাঁর নিথর দেহ।
জানা গিয়েছে, রোশনির পরিবারকে গত ১৩ তারিখ ইমেল করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা পরিবারকে জানানো হয়নি। খবর পাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কিন্তু কীভাবে তাঁর দেহ ফেরত আসবে তা জানানো হয়নি। আগামী বছরই বাড়ি ফেরার কথা রোশনির। সুইডেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এক সুইডিশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোশনির মা মমতা দাস(Mamata Das) জানিয়েছেন, শেষবার ২৯ সেপ্টেম্বর মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর মোবাইল, ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। ১৩ তারিখ ভবানীভবনের তরফে ইমেল মারফত রোশনির মৃত্যুর খবর জানানো হয় পরিবারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইডেন সরকার ভারতীয় তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ভারতীয় দূতাবাসে জানায়। এর পর ভারতীয় দূতাবাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লালবাজারে এই খবর জানানো হয়েছিল। এখন মমতা দেবীর আর্জি, মেয়ের দেহ মায়ের কাছে ফেরত আনতে পাশে দাঁড়াক রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করুক তারা।