নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুল খোলার নোটিস(Notice) পরে গেল, কিন্তু মানা হচ্ছে না খোদ কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশও। জি ডি বিড়লা স্কুল গ্রুপের(G D Birla Group) তরফে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল আগামী সোমবার থেকে কলকাতায় তাঁদের ৬টি স্কুলই খুলতে চলেছে। কিন্তু সেই নোটিসে এই কথাও বলা হল, যে সব পড়ুয়ার সমস্ত বেতন মেটানো আছে কেবলমাত্র তাঁরাই স্কুলে ঢুকতে পারবে। অথচ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের(Students) ক্লাস করা আটকানো যাবে না। নতুন ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রেও ফি(Fees) কোনও বাধা হবে না। অর্থাৎ জি ডি বিড়লা গ্রুপ আদালতের নির্দেশও মানছে না। আর সেই কারণেই এই নোটিস ঘিরে এখন শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
শনিবার জি ডি বিড়লা গ্রুপের তরফে যে নোটিস দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার বা ১১ এপ্রিল থেকে খুলে যাচ্ছে রাণীকুঠি এলাকায় থাকা জি ডি বিড়লা স্কুল, মিন্টো পার্কের অশোক হল গার্লস, সাদার্ন অ্যাভেনিউর লিটল জেমস, বালিগঞ্জের মহাদেবী বিড়লা হাইস্কুল, অশোক হলের জুনিয়র সেকশন এবং জামির লেনের মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুল। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় এই স্কুল্গুলি। তার জেরে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল যে সব পড়ুয়াদের বেতন পুরো দেওয়া আছে তাঁরা কেন ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত হবে। এদিন যে নোটিস দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়াদের ১০০ শতাংশ ফি মেটানো আছে তারাই শুধুমাত্র ক্লাস করার অনুমতি পাবে। অর্থাৎ যারা ৮০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে, তারাও ক্লাস করতে পারবে না। নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলছে, কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল ফি বকেয়া থাকলেও ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত মানল না।