নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) কান ঘেঁষে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার জয়নগরে তৃণমূল(TMC) নেতা খুনের রেশ এখনও কাটেনি। তার আগেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা(Saokat Molla) পেয়ে গেলেন খুনের হুমকি(Threat Call)। আর সেটাও জয়নগরের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে ঘিরে এখন নতুন করে উদ্বেগ ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে শওকরকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে তখন সরাসরি শওকতের কাছে হুমকি যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফোন করে সেই হুমকি দেওয়া হতো। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সরাসরি শওকতের কাছেই ফোন আসে প্রাণে মারা হুমকি দিয়ে। জানা গিয়েছে, এদিন যখন শওকত ভাঙড়ে আসছিলেন, সেইসময় তাঁকে ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। কে বা কারা বিধায়ককে খুনের হুমকি দিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। কার্যত তিনি এদিন প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শওকত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক হলেও, কার্যত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটা বড় অংশজুড়েই রয়েছে তাঁর দাপট। কয়লাপাচার মামলায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠালেও এখনও পর্যন্ত কোনও খুঁত তাঁরা বার করতে পারেননি শওকতের বিষয় সম্পত্তি নিয়ে। ভাঙড়ের বুকে শাসক দলের পায়ের নীচে মাটি সরে গিয়েছিল আইএসএফ ও নওসদ সিদ্দিকির উত্থানে। সেই ভাঙড় এখন শওকতের রাজনীতির জীবনে নয়া চাষের জমি হয়ে উঠেছে। কেননা ভাঙড়ে হারানো মাটি ফেরানোর দায়িত্ব তৃণমূলের তরফে শওকতকেই দেওয়া হয়েছে। তাই নিয়মিত তাঁকে ক্যানিং থেকে ভাঙড়ে আসতেও হয়। এদিন সেই আসার পথেই তিনি প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া ফোন পান। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পরে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে আরও জোরদার ভাবেই। বাড়ানো হবে তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীদের সংখ্যাও। দেওয়া হতে পারে একজন আধিকারিককেও যিনি এই নিরাপত্তার ব্যবস্থাটা দেখবেন। একই সঙ্গে কে বা কারা এই হুমকি দিয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।