নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত শেখ শাহজাহানকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে। এরপর হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে তার পক্ষে আইনজীবী আদালতে দাবী করেন ইডি হেফাজতে থাকাকালীন জোর করে ভয় দেখিয়ে তার মক্কেল শেখ শাহজাহানকে(Sk.Sahazahan) বয়ান লেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে তার আইনজীবী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে শেখ শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছে সেই বয়ান প্রত্যাহার করে নিতে চায় বলে তার আইনজীবী জাকির হুসেন আদালতে আবেদন জানান। দুর্নীতি মামলায় দৃত হুগলি জেলার বলা ঘরের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শংকর আঢ্য এই একই অভিযোগ এর আগে করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার সন্দেশখালি মামলার শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
শুনানি চলাকালীন ভ্যানচাল আদালতে শাহজাহানের বিচার বিভাগীয় হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। তার দাবি ছিল এই মামলায় কারা সাক্ষী দিয়েছেন তা শাহজাহান জানেন। এখন শাহজাহান মুক্তি পেলে এই মামলার অসুবিধা হতে পারে। শাহজাহানের আয় বহির্ভূত অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলেও আদালতে জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আইনজীবী। সেই সময় আদালতে বিচারপতির কাছে একটি কাগজ পেশ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি আদালতে জানান ওই কাগজে শাহজাহানের বয়ান রয়েছে এবং তিনিই তা আদালতকে জানাতে চান। শাহজানের আইনজীবী আদালতকে জানান ভয় দেখিয়ে ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তার মক্কেলকে দিয়ে জোর করে বয়ান লেখানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছিল যদি ওই বয়ান না দেয় তাহলে তার পরিবারকে মাদক ও মহিলা পাচার মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে। এরপরই শাহজাহান ওই বয়ান দেন।
তবে এখন শাহজাহান তার বয়ান প্রত্যাহার করতে চান বলে আদালতকে আবেদন জানান। শাহজাহানের আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। ওই কাগজটিতে যে লেখা রয়েছে সেই লেখা আদৌ শাহজাহানের কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইডির আইনজীবী। একই সঙ্গে আবেদনের পদ্ধতি এবং বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। আগামী ১৫ এপ্রিল ইডির বিশেষ আদালতে বিষয়টি উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে বের করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশখালিকান্ডের সঙ্গে যুক্ত শেখ শাজাহানকে।আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত তার জেল হেফাজত হয়েছে। শনিবার আদালত(Banqshall Court) থেকে বার করে শেখ শাহজাহানকে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় সাংবাদিকরা তাকে জোরপূর্বক বয়ান লেখানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।