নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কর্মশিক্ষার ৭৫০ শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। এদিন বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কীভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়েছে এদিন তা জানতে চায় আদালত।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। তার আগে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। ২০১৭ সালে জুন মাসে কেবল কর্মশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তার পরের বছর ২০১৮ সালের মার্চে মাসে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের অক্টোবর মাসে শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপর এই সংক্রান্ত একটি বিষয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমা রায় নামের এক চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করেন আদালতে। তাঁর দাবি, গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করে এসএসসি। সেখানে তাঁর চেয়ে কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম বিষয়টি নিয়ে জানান, এসএসসি-র ওই তালিকায় এমন ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সোমার থেকে কম। মঙ্গলবার বিচারপতি বসু নির্দেশ দিয়েছেন, ওই ৬০ জনকে মামলায় যুক্ত করার।