নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিযোগিতায় জিতলে পুরস্কার দেওয়া হবে বাঘ! অভিনব উদ্যোগ আলিপুর চিড়িয়াখানার। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জয়ী হলে তাঁকে দেওয়া হবে একটি বাঘকে দত্তক নেওয়ার সুযোগ। এমনই পুরস্কার নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে বছরের বিশেষ দিনগুলিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সাধারণত এই ধরনের প্রতিযোগিতায় জয়ীদের পুরস্কার হিসেবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হয় বই অথবা পেন বা পেনসিল বক্স। তার সঙ্গে একটি শংসাপত্রও দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারীকে। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, এবার থেকে আর এমন পুরস্কার থাকবে না। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জয়ী হলে সেই প্রতিযোগীদের জন্য এবার থাকবে বন্যপ্রাণীকে দত্তক নেওয়ার সুযোগ। তবে প্রতিযোগিতায় জিতলে, পুরস্কার হিসেবে দত্তক নেওয়ার সুযোগ পাওয়া বন্যপ্রাণীকে বাড়িতে নিয়ে যাতে পারবে না পড়ুয়ারা। চিড়িয়াখানায় এসে ওই প্রাণীর সঙ্গে দে৪খা করে যেতে পারবে তারা। বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য জু অথরিটির এক সদস্য জানান, ‘এখন থেকে চিড়িয়াখানায় কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে জয়ী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার হিসাবে বাঘ, সিংহ, ম্যাকাও, কাকাতুয়া দত্তক দেওয়া হবে। বিনামূল্যে তারা একমাসের জন্য এদের অভিভাবক হতে পারবে। দত্তক নেওয়া অন্য প্রাণীর খাঁচার সামনে অভিভাবকদের নামের বোর্ড টাঙানো হয়। একইভাবে পুরস্কার পাওয়া পশুপাখিদের খাঁচার সামনেও জয়ীদের নামের বোর্ড টাঙানো হবে।’
উল্লেখ্য, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে দত্তক প্রথা চালু করে। চিড়িয়াখানায় কোনও পশু বা পাখিকে বার্ষিক ও মাসিক দুভাবে দত্তক নেওয়া যায়। সাধারণত দত্তক নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় যিনি দত্তক নিতে চান তাঁকে। বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে এই টাকার পরিমাণ আলাদা। যেমন একটি বাঘকে দত্তক নিতে চাইলে বছরে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে প্রতিযোগিতায় জিতলে কোনও রকম টাকা ছাড়া দত্তক নেওয়া যাবে।