নিজস্ব প্রতিনিধি: এতদিন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতাদের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখেছেন বাংলার মানুষ। তু তু ম্যায় ম্যায় কার্যত বঙ্গ বিজেপিতে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যদিনই কেউ না কেউ দল ছাড়ছেন, কেউ বেসুরো হচ্ছেন, কেউ নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই যখন অবস্থা তখন গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন খোদ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। প্রকশ্যেই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনি গতকালই সাফ জানিয়েছিলেন, বাংলায় পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েতমন্ত্রকে(Panchayat Ministry) জমা পড়েনি। সেই ঘটনা বঙ্গ বিজেপির মুখ পুড়িয়েছিল। সেই জায়গা থেকে বার হয়ে আসতেই এদিন মুখ খুলেছেন সুকান্ত। কিন্তু সেই মন্তব্য কার্যত বিজেপিকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলে দিল।
বুধবার কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল(Kapil Moreshwar Patil) দক্ষিণ কলকাতায়(Kolkata) বিজেপির বুথ সশক্তিকরণের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে এক অনুষ্ঠানে জানান, ‘বাংলায় পঞ্চায়েত দুর্নীতি নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত মন্ত্রকে জমা পড়েনি। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিক রাজ্যে নামবদলের অভিযোগ আসছে। সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। রাজ্যের ১০০দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া হয়নি। শুধু স্থগিত করা হয়েছে।’ মোরেশ্বরের এই বক্তব্যই বিজেপির মুখ পুড়িয়েছে। কেননা রাজ্যে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। অথচ মোরেশ্বর গতকাল যা জানিয়েছেন তা কার্যত তৃণমূল সরকারকেই সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে যতদিন যা বলেম এসেছে তা যে কার্যত অসাড়, তথ্য-প্রমানহীন ও অপপ্রচার সেটাই এখন সামনে চলে এসেছে। আর এটাই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখ পুড়িয়েছে।
সেই জায়গা থেকে বার হতে গতকালই বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর চেয়ারে থেকে একথা বলেছেন। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জমা পড়ার কথা নয়। রাজ্যে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সেই জায়গা থেকে সুকান্ত মজুমদার বেশ কয়েজ যোজন এগিয়ে দাবি করেন, ‘উনি প্রতিমন্ত্রী, ওঁর কাছে খবর নেই। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানেন রাজ্যের দুর্নীতির কথা।’ দিলীপ ঘোষ আবার জানিয়েছেন, ‘বিডিও-র দেওয়া পার্টিতে ফুর্তি করে রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।’ ঘটনা হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী যা বলেছেন তা যেমন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখ পুড়িয়েছে তেমনি এখন সুকান্ত যেভাবে প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন তা বিজেপির মুখ আরও পোড়াচ্ছে।