এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতাই ঠিক, সিঙ্গুর আর হলদোয়ানিকে মেলালো সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম বাংলার(Bengal) বুকে ৩৪ বছরের অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর সেই উত্থানের পিছনে বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল সিঙ্গুরের(Singur) জমি আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জেরে কার্যত পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয় টাটারা। কেননা তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার গায়ের জোরে যেভাবে জমি দখল করে তা টাটাদের হাতে তুলে দিয়েছিল তা সিঙ্গুরের মানুষ তো বটেই বাংলার মানুষও মেনে নেননি। সেই আন্দোলন ও টাটাদের সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে আজও মমতা বিরোধীরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শাণেন। কিন্তু বাংলার মানুষ সেই সব কথায় কান না দিয়ে বার বার মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টও ঐতিহাসিক রায় দিয়ে সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের হাতেই ফেরত দেওয়া করিয়েছে। সেই সুপ্রিম কোর্টই(Supreme Court) বৃহস্পতিবার একসূত্রে বেঁধে দিল সিঙ্গুর আর হলদোয়ানিকে। ধাক্কা খেতে হল জমি হাঙরদের।

আরও পড়ুন বাংলাকে বদনামের চেষ্টা বরদাস্ত নয়, বন্দে ভারত ইস্যুতে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

উত্তরাখণ্ডের(Uttarakhand) হলদোয়ানিতে(Haldwani) প্রায় ৯০০ একর জমিতে রয়েছে আমজনতার বসবাস। যদিও সেই জমি রেলের। হলদোয়ানি স্টেশনের পাশে বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একের পর এক বসতি। এখন হঠাৎ করেই ওই ৯০০ একর জমির মধ্যে ৩০ একর জমিকে চিহ্নিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু চিহ্নিত করাই নয়, ওই জমিতে বসবাস করা কয়েক হাজার পরিবারকে ওই জমি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। বিবাদের সূত্রপাত শুধু এখানেই নয়, এর মূলে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের সংখ্যালঘুদের প্রতি অমাণবিক আচরণও। কেননা যে ৩০ একর জমির ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে সেই জমিতে যারা বসবাস করেন তাঁদের ৯৫ শতাংশই মুসলিম। অথচ এই রেলের বাকি ৮৭০ একর জমিতে বসবাস করা হিন্দু পরিবারগুলির একটিকেও জমি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়নি। বেছে বেছে শুধু ওই ৩০ একর জমিতে বসবাস করা কয়েক হাজার মুসলিম পরিবারকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস ধরানো হয়েছিল। তবে শুধু মুসলিম পরিবারগুলিই যে ওই এলাকায় বসবাস করেন তা নয়, সেখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্কও। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে ওই পরিবারগুলি। রেলেরই এক মামলায় ওই ৩০ একর জমি জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশ দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগের কায়েদায় ধরনায় বসেন বাসিন্দারা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত যা কার্যত সিঙ্গুরের কথায় মনে করিয়ে দিয়েছে সকলকে।

আরও পড়ুন দেশে Fake News ছড়ানোর শীর্ষে বিজেপি, তলানিতে তৃণমূল

কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কে কাউল এবং বিচারপতি এ এস ওকারের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে বলে, ‘মাত্র ৭ দিনের নোটিসে ৫০ হাজার মানুষকে উৎখাত করা যায় না। রাতারাতি ৫০ হাজার মানুষকে উৎখাত করা উচিতও নয়। রেলের জমি মেনে নিয়েও ৫০-৬০ বছর ধরে থাকা মানুষদের পুনর্বাসনের কিছু ব্যবস্থা করা দরকার। জমি জবর দখলের অভিযোগ থাকলেও গোটা বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখা উচিত। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জমিতে যারা রয়েছেন তাঁদের উপযুক্ত পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। রেলের জমিতে শুধু ঘর-বাড়ি নয় স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক সবই রয়েছে। জমিতে বাড়ির পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, সাত দিনে সবটা ফাঁকা করা যাবে কী করে? এই মানবিক ইস্যুর কোনও সমাধান করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে এই এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার কথা বলা উচিত হবে না। বাসিন্দাদের নথি আলাদা করে পরীক্ষা করাও দরকার। রেলকে গ্রহণযোগ্য সামাধন খুঁজতে হবে। রাজ্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁরা কী ভাবছেন সেটা তাঁদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।’

আরও পড়ুন ‘একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না’, গঙ্গাসাগর থেকে ফের কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

আর এই রায় ফের বুঝিয়ে দিচ্ছে, গায়ের জোরে জমি দখল কাম্য নয় এই দেশে। যেভাবে সিঙ্গুরে বামফ্রন্ট সরকার গায়ের জোরে কৃষকদের জমি দখল করে তা টাটাদের হাতে তুলে দিয়েছিল কার্যত সেই একই পথে হেঁটে রেল হলদোয়ানিতে জমি দখল করতে গিয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট জোর ধাক্কা দিয়েছে। আমজনতার স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে। দুটি রায় বুঝিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে ভুল কিছু করেননি। তাঁর আন্দোলন যথার্থ ছিল। নায্য ছিল। সঠিক ছিল। আজ সেই সিঙ্গুর আর হলদোয়ানিকে এক্সূত্রে গেঁথে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জয় হল আন্দোলনের। জয় হল গণতন্ত্রের। জয় হল এই দেশের বিধিদের মধ্যেও থেকে যাওয়া ঐক্যের সুরের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর