নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়ায় যেতে বাধা দেওয়ায় এবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা ওই চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী আবেদন করেছেন, হাওড়ায় বিজেপি পার্টি অফিসে যেতে তাঁকে যেন বাধা না দেওয়া হয়।
রবিবার হাওড়ায় বিজেপির পার্টি অফিস দেখতে আসার জন্য কাঁথি থেকে বেরোন বিজেপি নেতা। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। এর পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় তিনি স্তম্ভিত। গতকাল রাত থেকে তাঁর কাঁথির বাড়ির সামনে পুলিশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এরপর হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে কাঁথির আইসি সীমালঙ্ঘন করেছেন বলেও মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ২ ঘণ্টা আটক করে রাখার পর অবশেশে তাঁর রাস্তা ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর পর তমলুক থেকে সোজা কলকাতায় এসে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কলকাতায় এসে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে অবস্থানে বসেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন হাওড়া যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে তমলুকের রাধামণি মোড়ে পুলিশ তাঁকে আটকায়। পুলিশের কাছে শুভেন্দু জানান, তিনি এখন রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি। তবুও কেন তাঁকে আটকানো হচ্ছে? একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানান, হাওড়া নয়, তিনি কোলাঘাট গেস্ট হাউসে যাচ্ছেন। তার পরও রাস্তা না ছাড়ায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে ভিডিও কলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে রাস্তায় আটকে দেওয়া নিয়ে আদালতেও যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। এর পরই মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে রাস্তায় আটকের প্রতিবাদে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।