নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবারও বাড়ল রাজ্য –রাজ্যপাল সংঘাত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে রাজ্যপাল দেউলিয়া করে দিতে চাইছেন বলে আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রীর। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি নিয়ম ভাঙার অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর।
রাজ্যের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সহ কৃষি ও প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে কোন আইনবলে রাজ্যপাল তথা আচার্য এভাবে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ভিসি বসাচ্ছেন আবার তাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই রাজ্যপালের তালিবানি মনোভাব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে, তাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে দিচ্ছেন।’’
রাজ্যপালের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ থাকলেও তা করা সম্ভব হয়না। এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আগের রাজ্যপাল ধনখড় আলোচনার টেবিলে বসতেন। আইন নিয়ে তর্কাতর্কি হত। ফাইল চালাচালি হত। আমরা বার বার আলোচনার পক্ষে। সচিব রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন। ওঁর তালিবানি ফতোয়ার পরেও আমরা ফাইল পাঠিয়ে গেছি। কিন্তু আলোচনা হয়নি। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে।’’
প্রসঙ্গত আচার্যই উপাচার্য, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আচার্য-ই উপাচার্য! কীভাবে সম্ভব? আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের যে সংঘাত চরমে উঠবে তা আশঙ্কা করাই হয়েছিল। এবার তা প্রকাশ পেল। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ফের প্রকাশ্যে।