নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে ধামাখালিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিল বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই সময় ঘটনাস্থকে ডিউটি করছিলেন IPS তথা রাজ্য পুলিশের ইনটালিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশ্যাল সুপার জশপ্রীত সিং। অভিযোগ সেই সময় শুভেন্দু তাঁকে ‘খলিস্তানি’ বলে কটাক্ষ(Khalistani Remarks) লরেছিলেন। কেননা ওই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষটি তাঁর ডিউটির সময়ে মাথায় পাগড়ি পড়েছিলেন। সেই ঘটনার জেরে রাজ্য তো বটেই, দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন শিখ ধর্মের মানুষেরা। পরবর্তীকালে কলকাতার ভবানীপুর থানায় একটি FIR-ও দায়ের করা হয়। সেই FIR’র জেরে কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) তরফে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন আর একটি FIR করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগে থেকেই এই নিয়ে শুভেন্দুকে বিশেষ রক্ষাকবচ দিয়ে রাখায় কলকাতা পুলিশকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু এদিন সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে FIR করতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে। সেই সূত্রেই পুলিশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম সেই মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। কেননা সেখানেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলি শুনানি হবে। কিন্তু এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, খলিস্তানি বিতর্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR করতে চেয়ে রাজ্য যে আবেদন জানিয়েছে তা তিনি শুনবেন না। তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে ওই মামলাটি ফেরত পাঠাচ্ছেন। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার আগেই জানা যাবে এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের কোন বিচারপতির এজলাসে শুনানির জন্য উঠবে। উল্লেখ্য, কলকাতার ভবানীপুর থানায় খলিস্থানি মন্তব্যে যে FIR করা হয়েছিল, তা করেছিলেন গুরমীত সিং নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, খলিস্থানি মন্তব্যের ঘটনা শুধু শিখ পুলিশ কর্তাকে ধর্মীয় অবমাননাই নয়, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হিসাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। বিজেপির কোনও নেতা অথবা সদস্য ওই মন্তব্য করেছেন। ওই FIR-এ কিন্তু স্পষ্ট ভাবে শুভেন্দু বা অপর কোনও বিজেপি নেতার নাম করা হয়নি।