নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজের কিছু বাধ্যবাধকতার কারণেই দলীয় পদ ও বিধায়ক পদ ছেড়েছেন তাপস রায়। সোমবার এইভাবেই তাপসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগল তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের একাংশ মতে, তাপসের বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি নিশ্চয় কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছিল। এখন সেই ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্যই বিজেপিতে যেতে হচ্ছে তাপসকে।
এদিন বিধায়ক ও দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় তাপস রায় জানিয়েছিলেন, ইডির হানার পর দলীয় নেতৃত্ব তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেও পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ইডি তাপসের ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছিল। দুদিন পর সেই ফোন নম্বর সক্রিয় হয়েছে। সেইসময় দলীয় নেতৃত্ব একাধিকবার তাপসের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফলে তাপস যে কথা বলছে, সেটা সত্যি্ নয়। তাপস রায় দলের মুখপাত্র ছিলেন। তবে সোমবার তিনি যা দাবি করেছেন, তা হাস্যকর। এদিন বিধানসভায় তাপস যখন তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন, তখন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এক সভা থেকে তাপসের নাম না করেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে ভাঙতে চাইছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় ইস্তফা দিতে পারেন। শেষ পর্যন্ত সোমবার সাড়ে ১১টা নাগাদ তাপসের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাপসকে দল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য বোঝানো হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ব্রাত্য ও কুণাল বেরিয়ে যাওয়ার পর রাজ্য বিধানসভার উদ্দেশ্য রওনা দেন তাপস রায়। এরপর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এর আগে গত পয়লা মার্চ সরকারি ও দলীয় পদ থেকেও ইস্তফা দেন তাপস।