নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে তৃণমূল প্রতিনিধিদের দিল্লি পুলিশের হেনস্থা নিয়ে নালিশ জানাতে সোমবার রাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখার করার জন্য রাজভবনে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায়, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ, অসীমা পাত্র। রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা রাজভবনের গেটের সামনে পৌঁছে যান। রাত নয়টার খানিকক্ষণ আগে বাড়ি থেকে রাজভবনে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই সবাই রাজভবনের অন্দরে প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে চার সংস্থার অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে নালিশ জানায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে চার সংস্থার ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ প্রধানকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করার পরেই দফতরের বাইরে আচমকাই ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা। ২৪ ঘন্টা ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন। আর ওই ধর্না শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উপরে ‘গুন্ডার’ মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অমিত শাহের ‘পোষ্য’ দিল্লি পুলিশের জওয়ান ও আধিকারিকরা। ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষদের টেনে হিঁচড়ে ও ধাক্কা মেরে তুলে দেওয়া হয় বাসে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির মার্গ থানায়। দলের প্রতিনিধিদেরন হেনস্থার খবরেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই হেনস্থার প্রতিবাদ জানাতে এদিন সন্ধেতেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান শহরের বাইরে থাকায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে দেখা করার জন্য সময় বরাদ্দ করেনি রাজ্যপালের দফতর। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল পিংলা থেকে শহরে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। রাতেই রাজভবনের তরফে জানানো হয়, রাত নয়টা নাগাদ রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎ করার সময় দিয়েছেন। ওই বার্তা পাওয়ার পরেই রাজভবনে ছুটে যান অভিষেক-সহ তৃণমূল প্রতিনিধিরা।