নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে অমিত শাহের ‘পোষ্য’ দিল্লি পুলিশের হাতে দলের প্রতিনিধিদের হেনস্থায় ক্ষুব্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই হেনস্থার প্রতিবাদ জানাতে সোমবার সন্ধেতেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান শহরের বাইরে থাকায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে দেখা করার জন্য সময় বরাদ্দ করেনি রাজ্যপালের দফতর। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল পিংলা থেকে শহরে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পোষ্য ভৃত্য’ চার কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, সিবিআই, আয়কর ও এনআইয়ের সক্রিয়তা বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রভু বিজেপি নেতাদের নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের রাজনৈতিক হেনস্থায় নখদাঁত ঝাঁপিয়ে নেমেছে চার সংস্থার ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ আধিকারিকরা। সোমবার বিকেলে চার সংস্থার অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে নালিশ জানায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে চার সংস্থার ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ প্রধানকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করার পরেই দফতরের বাইরে আচমকাই ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা। ২৪ ঘন্টা ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন। আর ওই ধর্না শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উপরে ‘গুন্ডার’ মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অমিত শাহের ‘পোষ্য’ দিল্লি পুলিশের জওয়ান ও আধিকারিকরা। ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষদের টেনে হিঁচড়ে ও ধাক্কা মেরে তুলে দেওয়া হয় বাসে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির মার্গ থানায়। দলের প্রতিনিধিদের হেনস্থার খবরেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।