নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, এই শ্লোগান তুলেই একুশের ভোটে বাজিমাত করেছিল তৃণমূল(TMC)। একুশের সেই শ্লোগানকে বানানোই হয়েছিল বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) সামনে রেখে। ফলাফলেও দেখা গিয়েছিল, বাংলা তার নিজের মেয়ের ওপরেই আস্থা রেখেছে। এবার আস্থার পাল্টা আস্থা রাখতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জোড়াফুল সূত্রে খবর, ২৪’র ভোটে(General Election 2024) তৃণমূলের অর্ধেক প্রার্থীই(Candidate) হতে চলেছেন মহিলা(Women)। ২০ থেকে ২১টি আসনে সেই সব মহিলা প্রার্থীদের দাঁড় করানো হতে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের জন্য প্রায় ৪১ শতাংশ মহিলাকে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা। সেই সময় সংখ্যাটা ছিল ১৭। সূত্রের দাবি সঠিক হলে এবার অর্থাৎ ২৪’র ভোটে তৃণমূলের ৫০ শতাংশ প্রার্থীই হবে মহিলা।
একুশের ভোটে তামাম বাংলা আস্থা রেখেছিল মমতার প্রতি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট বাক্সে উজাড় করা সমর্থন দেয় বাংলার গ্রাম থেকে শহরের মানুষ, বিশেষ করে মা-বোনেরা। তারই প্রতিদানস্বরূপ ২৪’র ভোটে রাজ্যের অর্ধেক আসনেই মা-বোনদের প্রতিনিধিত্ব করাতে ২০ থেকে ২১জন মহিলা প্রার্থীকে মাঠে নামাতে চলেছে তৃণমূল। চলতি মাসেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেখানে তিনি যোগ দেবেন বিরোধী বিরোধী মহাজোট INDIA’র বৈঠকে। সেখানেই এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধির পৃথক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই রাজ্যে এখন কংগ্রেসের হাতে না আছে কোনও পুরসভা, না আছে কোনও জেলা পরিষদ। বিধানসভাতেও নেই কোনও বিধায়ক। থাকার মধ্যে আছে ২জন মাত্র সাংসদ। তৃণমূল তাঁদের আসন না ছাড়লে ২৪’র ভোটে তাঁদের নিজেদের আসন ধরে রাখা দুষ্কর। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি রাজ্যে তাঁদের ১২টি আসন ছাড়ত্রে হবে। তবে মমতা জেতা দুই আসনের বাইরে সম্ভবত বাড়তি কোনও আসন ছাড়বেন না। যদি জোট না হয় তাহলে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে। অর্থাৎ জোট হলে তৃণমূল ৪০টি ও কংগ্রেস বাকি ২টি আসনে প্রার্থী দেবে। আর জোট না হলে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে। সেক্ষেত্রে ২০ থেকে ২১টি আসনে তৃণমূল মহিলাদের প্রার্থী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উনিশের ভোটে তৃণমূলের যে সব মহিলা প্রার্থী জয়ের মুখ দেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে আছেন মহুয়া মৈত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, মালা রায়, প্রতিমা মণ্ডল, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সাজদা আহমেদ এবং অপরূপা পোদ্দার। এঁদের মধ্যে মহুয়ার প্রার্থী পদ ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকিদের মধ্যে কারা টিকিট পান, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মহিলা সাংসদ দোলা সেন, মৌসম নুররাও টিকিট পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আবার নতুন প্রার্থী হিসাবে সায়নী ঘোষ, শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজাতা মণ্ডলদের নামও শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের মতো প্রাক্তন সাংসদের নামও শোনা যাচ্ছে। নাম ঘুরছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।