এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ম্যাজিগ ফিগার থেকে সামান্য বেশি, বেশ চাপে মোদি

কৌশিক দে সরকার: বিপর্যয় যে আসছে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল সঙ্ঘ। দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও ধরা পড়েছে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত। এবার বেসরকারি সংবাদসংস্থার সমীক্ষাতেও(Voter Survey) ধরা পড়ল সেই একই ছবি। দেশজুড়ে ক্রমশ কমছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) জনপ্রিয়তা। গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে বিজেপিও(BJP)। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ছবি কিন্তু মোদির পাশাপাশি বিজেপির কাছেও বেশ উদ্বেগের। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এবং একটি সমীক্ষক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে দেশজুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল যে এখনই ভোট হলে দেশের কোন দল ঠিক কত আসন পেতে পারে। সেখানেই ধরা পড়েছে দেশে সরকার গড়তে গেলে যে ম্যাজিক ফিগারের প্রয়োজন সেই ২৭২ এর সামান্য বেশি পেতে পারে বিজেপি। তাতে হয়তো দেশে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি, কিন্তু সেই সরকার কতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।  

আরও পড়ুন হিসাব দিন, সমবায় নিয়ে শাহি ফরমান নবান্নের দুয়ারে

সমীক্ষায় উঠে এসেছে এখনই ভোট হলে বিজেপি সারা দেশ থেকে পেতে পারে মাত্র ২৮৪টি আসন, যা ম্যাজিগ ফিগারের থেকে মাত্র ১২টি বেশি। ভয়ের জায়গা হচ্ছে এটাই যে, এখনও দেশে লোকসভা নির্বাচন হতে ১২ মাসেরও বেশি সময় বাকি। মোদি ও বিজেপির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা যে ক্রমশ নিম্নমুখী তা কার্যত উঠে এসেছে সমীক্ষাতে। সঙ্গে এটাও বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিনে রাতারাতি এই ছবির খুব একটা বদল তো ঘটবেই না, উপরন্তু জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার গ্রাফ আরও নামবে। আর একদম চূড়ান্ত মুহুর্তে যদি ২৭২-ও না আসে তাহলে কেই বা সরকার গড়বে আর কেই বা প্রধানমন্ত্রী হবে তা কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্ন। সমীক্ষার ছবি কিন্তু বলে দিচ্ছে এই সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্টই। সেক্ষেত্রে ২০২৪ ত্রিশংকু সংসদ দেখা যেতে পারে। সমীক্ষা কিন্তু এটাও বলছে দেশজুড়ে বাড়ছে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা। এখনই ভোট হলে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধির দল পেতে পারে ১৯১টি আসন। যদিও তা ম্যাজিগ ফিগারের থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু আগামী দিনে বিজেপি ভোট যদি আরও কমে আর তার ফায়দা যদি কংগ্রেস(INC) পায় তাহলে তাঁরাও সরকার গড়ার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে।

আরও পড়ুন লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে মুখ পুড়ল বিজেপির

কিন্তু বিজেপির হারা জমি যদি কংগ্রেসের পরিবর্তে আঞ্চলিক দলগুলির হাতে যায় তাহলে কিন্তু এই আঞ্চলিক দলগুলিই সব নজর কেড়ে নেবে। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেস(TMC), অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি চট করে কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসবে না। এই ৪ দলের ব্লকের হাতেই ১০০’র বেশি আসন থাকতে পারে যা বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলের কাছেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠবে। আর এখানেই রাজনৈতিক বিশারদরা মনে করছেন, এই ৪টি দলের মধ্যে যেহেতু সব থেকে বেশি আসন থাকবে তৃণমূলের হাতে তাই আগামী দিনে মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কেন্দ্র সরকারকে যেমন বাংলার রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাবে তেমনি চাপে রাখার জন্য একের পর এক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাতেও দেখা যাবে। তবে এটাও ঠিক যে বিজেপিকে কোনও আঞ্চলিক দলই সমর্থন দেবে না। শিরোমণি অকালি দলও নয়, শিবসেনাও নয়। সেক্ষেত্রে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে আর কংগ্রেসকে ঠেকাতে হয়তো বাধ্য হবে এই ৪ দলের জোটকে পিছন থেকে সমর্থন করতে। সেই সম্ভাবনা কিন্তু এখন ক্রমশই বাড়ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর