নিজস্ব প্রতিনিধি: এক দিনেই ৭ জায়গায় হানাদারি(Raid)। ৭টি জায়গাই হয় কলকাতার(Kolkata) মধ্যে নয়তো আশেপাশে। চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র হানাদারি। নেপথ্যে রেশন বন্টন দুর্নীতি(Ration Distribution Scam)। সেই ঘটনায় চুরি যাওয়া সামগ্রি বিক্রির কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটাই খুঁজে চলেছে ED। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) ওরফে বালু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য – যিনি আবার বালু ঘনিষ্ঠ এবং বালুর অপর এক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। মূলত বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ED বালু ও শঙ্করের বাড়ি ও তা৬দের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। এদিন যে ৭ জায়গায় ED’র হানাদারি চলছে তার সবই এই বাকিবুর ও শঙ্করের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও তাঁদের কার্যালয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ED। পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি, সল্টলেক, মেট্রোপলিটান ও বন্দর এলাকায় চলছে এই তল্লাশি অভিযান। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ED আধিকারিকদের সঙ্গে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ED’র আধিকারিকেরা Search Warrant সঙ্গে নিয়ে এসেই তল্লাশি চালাচ্ছেন। মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই সব ব্যবসায়ীদের হাত ধরে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা কোথায় পাচার হয়েছে বা তা কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগেই ED আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শংকর আঢ্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা বাংলাদেশ সহ মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়েছে। এখন সেই সব সম্পদের সন্ধান চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।