এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ রকমের শাক খাওয়া হয় কেন, জেনে নিন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাস পেরোলেই শ্যামার আগমন বার্তা। অর্থাৎ কালীপুজো। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মনে করা হয় এদিন মৃত পূর্বপুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন। দীপান্বিতা অমাবস্যার আগেই তেনাদের আগমন ঘটে। আর সেই চতুর্দশী তিথিতেই পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। রীতি মেনে এদিন প্রত্যেক হিন্দুর ঘরেই চোদ্দ রকমের শাক খাওয়া হয়।কিন্তু কেন এই নিয়ম প্রচলিত? কোন বিশ্বাসের ওপর ভর করে প্রত্যেকে এই নিয়ম মেনে আসছেন বছরের পর বছর?

পুরাণ মতে, দানবরাজ বলির স্বর্গ্য, মর্ত্য ও পাতাল দখলের পর নির্বিচারে হত্যাও রাক্ষসরাজ শুরু হওয়ার পর দেবতারাও এ থেকে নিস্তার পাননি। বৃহস্পতির পরামর্শক্রমে বলির এই তাণ্ডব ঠেকাতে বিষ্ণু বামনের ছদ্মবেশে আবির্ভূত হন। তিন পা সমান জমি ভগবান বিষ্ণু বলির কাছে ভিক্ষা চান। বলি বুঝতে পারে যে ছদ্মবেশে এ হলেন বিষ্ণু। কিন্তু তা সত্বেও তিনি বিষ্ণুকে ভিক্ষা দিতে রাজি হয়ে যান। এরপরই দু-পা দিয়ে ভগবান বিষ্ণু স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করেন। এবং তাঁর নাভি থেকে বেরিয়ে আসা পা বলির মাথায় রাখেন। আর এর ফলে বলির পাতাল প্রবেশ ঘটে। কিন্তু ভগবান বিষ্ণুকে ভিক্ষা দিতে রাজি হওয়ার কারণে তিনি করুণার পাত্র হয়ে থাকেন। এবং তাঁর আশীর্বাদেই মর্ত্যে প্রতিবছর বলির পুজো হয়। মনে করা হয় যে, কালীপুজোর আগের রাতে রাজা বলি পাতাল থেকে পুজো নিতে মর্ত্যে আসেন যার সহচর হিসাবে থাকেন অশরীরী ও প্রেতাত্মারা। 

অনেকে এদিন পূর্ব পুরুষদের কথা স্মরন করে এই চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার পাশাপাশি চোদ্দ শাক ধোয়া জল বাড়িতে ছেটায়। মনে করা হয় এই দিন স্বর্গ ও নরকের দরজা কিছুক্ষণের জন্য খোলা রাখা হয় আর সেখান দিয়েই স্বর্গত ব্যাক্তিরা পৃথিবীতে নেমে আসেন। 

কিন্তু শুধু পুরাণ বা শাস্ত্রমতে শুধু নয়। এদিন চোদ্দশাক খাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও। রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শাক খাওয়ার নিয়ম। সেগুলি হল- পাট, কুমড়ো, কলমি, মুলো, গিমে, হিলঞ্চ, গুলঞ্চ, পলতা, মেথি সর্ষে নটে, লাল ও সুষনি শাক। তবে অঞ্চলভেদে নিম, জয়ন্তী, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, লাউ, পালং, পুঁই, ওল, বেতো, কেঁউ, পলতা ইত্যাদি শাক খাওয়ার রীতিও আছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বা দেশের প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি বলছে এই শাক গুলিতে রয়েছে নানা রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা। শুধু তাই নয় কালীপুজোর সময় থেকেই বাতাসে শিরশিরানি শুরু হয়। অর্থাৎ শীতের হাওয়া ধীরে ধীরে বইতে শুরু করে তাই এই ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা রোগ দেখা যায় যা প্রতিরোধে এই শাকগুলি বিশেষভাবে কার্যকরী। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শিশুদের চুল ন্যাড়া করালেই কি গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে! কি বলছেন চিকিৎসকেরা

গরমের দাবদাহে ডিম খাওয়া উচিত, কী বলছেন চিকি‍ৎসকেরা?

গরমে কুপোকাত! উত্তরাখণ্ডের শৈলশহরে ঘুরে আসতে পারেন

জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ উদ্ভিদের জাদুঘর! দেখে নিন সুন্দরবনের বিশেষ স্থান

আইসক্রিম কি শরীর ঠান্ডা রাখে না গরম ? জেনে নিন কি বলছেন চিকিৎসকেরা

তীব্র তাপপ্রবাহে শিশুর যত্ন নেবেন কিভাবে!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর