নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরচর্চা, পরনিন্দায় পারদর্শী মেয়েরা, এই বদনাম মেয়েদের কপালে জুটেছে অনেকদিন আগে থেকেই। আর তাই মহিলামণ্ডলী এক জায়গায় হলে তাঁরা আশেপাশের লোকজনদের নিয়ে পরচর্চা, পরনিন্দা করছে এমনটাই ধরে নেওয়া হয়। তবে সমাজের চোখে এই পরচর্চা, পরনিন্দা যতই খারাপ হোক না কেন চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই পরচর্চা, পরনিন্দার রয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যগুণ। গবেষকদের মতে, পরচর্চা, পরনিন্দা করলে শুধু শরীর নয় ভালো থাকে মনও। আর তাই তাঁদের পরামর্শ, পরচর্চা, পরনিন্দা নিয়ে যত বিতর্কই হোক না কেন নিন্দুকের মুখে ছাই ফেলে গসিপ চলুক জমিয়ে। তাঁরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন, পরচর্চা, পরনিন্দা করলে ঠিক কি কি উপকার হয় আমাদের।
তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে সেই তালিকাতেই একবার ঝট করে বুলিয়ে নেওয়া যাক চোখ।
১) মন হালকা করে
গসিপ মন হালকা করে। আমাদের রোজকার জীবনে অনেকের সঙ্গেই আলাপ ঘটে। অনেকের সঙ্গে ওঠা-বসা। সব সময়ই সবাই মন জিততে পারে না। অনেক সময় অপছন্দের ব্য়ক্তির সঙ্গেই কথা বলতে বাধ্য হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় নির্দিষ্ট ব্য়ক্তির উপর রাগ চেপে না রেখে, তাঁর নামে বিন্দাস হয়ে গসিপ করুন। দেখবেন, হালকাও থাকবেন আর যাবে কমে। তবে হ্যাঁ, দেখে নেবেন যার সঙ্গে গসিপ করছেন, সে যেন বিশ্বাসী হয়।
২) মানুষ চিনতে সাহায্য করে
গসিপ মানুষ চিনতে সাহায্য করে। একমাত্র এই গসিপের মারফতই বোঝা যায় আপনার উল্টোদিকের মানুষটার মন ঠিক কেমন। তবে সাবধান! গসিপ করুন মন খুলে, কিন্তু সচেতনভাবে শব্দ প্রয়োগ করুন। উলটো দিকের লোকটা ঠিক কেমন, তা বুঝতে গসিপের থেকে ভাল কিছু নেই। ঠিক একইভাবে আপনার নিজের পরিচয়ও অন্যের সামনে তুলে ধরা যায় এই গসিপের মাধ্যমেই।
৪) অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া
গসিপ মানে অন্যের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার একটা দারুণ হাতিয়ার। যার সঙ্গে গসিপ করছেন, তাঁর অবস্থায় নিজেকে রাখুন, তাহলেই ধরতে পারবেন আপনার ভুলগুলো। তাতে অপরকে বুঝতে আপনার অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে।
৫) মানসিক চাপ কমায়
গসিপ রাগ, আক্রোশ, মানসিক চাপ কমায়। তাই গসিপ করতে এমন বন্ধুকে বেছে নিন, যার সঙ্গে গসিপ করলে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে।
৬) স্ট্রেস বাস্টার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন গসিপ একধরনের স্ট্রেস বাস্টার। তবে মাথায় রাখুন, আপনার গসিপে যদি কেউ গভীরভাবে আঘাত পায়, তাহলে কিন্তু সেই গসিপ একেবারেই ভাল নয়! উলটে এতে বিপদ হতে পারে। তাই বিন্দাস গসিপ করুন। কিন্তু সাবধানে।