নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুল পড়ে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেন একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। তাই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় প্রায় সকলেই নাজেহাল। শরীরের বিভিন্ন যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্ন নেওয়াও ভীষণ ভাবে দরকারী। চুল পড়া আটকানোর পাশাপাশি চুলকে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মজবুত রাখা জরুরি। কারণ আমাদের সাজপোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ার স্টাইলও মাস্ট। বাইরে মোটা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট করেও ফল পাচ্ছেন না? জেনে নিন কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া আটকাবেন?
আমলকিঃ চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমলকি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বলা ভালো চুলের জন্য এটি সবচেয়ে পুষ্টিকর একটি উপাদান। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও নানা পুষ্টি উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। আমলকি চূর্ণ, তেল বা কাঁচা ব্যবহার করা হয় চুলের জন্য। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত আমলকি খেলে তা চুলের স্বাস্থ্যরক্ষার্থে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ডিমঃ চুলের যত্নে ডিমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এগ শ্যাম্পু বিশেষ পছন্দ করেন। কিন্তু সরাসরি ঘরোয়া এই উপাদান চুলে মাখলে চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। অনেকেই ডিমের গন্ধের জন্য চুলে তা মাখতে পছন্দ করেন না। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন ডিমে রয়েছে বায়োটিন, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি এবং ই। ডিমের সাদা ও কুসুম দুই অংশই চুলের জন্য বিশেষ উপকারি। ডিমে থাকা ভিটামিনগুলি চুলকে শুষ্ক ও ড্যামেজ হওয়া থেকে আটকায়।
তেলঃ সামনেই শীতকাল আসন্ন আর তাই ত্বকের পাশাপাশি আমাদের চুলের যত্নও নিতে হবে সঠিক ভাবে। শীতকালে ত্বকে বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার মত চুলেও নিয়ম মাফিক তেল লাগাতে ভুলবেন না। বিশেষত শ্যাম্পু করার আগে। শীতকালে গরম তেল চুলে মাখলে আপনার শুষ্ক স্কাল্প ও চুল দুইই ভালো থাকবে। চেষ্টা করবেন শীতকালে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার মত বিষয়টি এড়িয়ে চলতে। এবং শ্যাম্পু করলে অবশ্যই শীতকালে কন্ডিশনার মাখবেন।
হেয়ার মাস্কঃ দু চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চামচ মধু ও দু চামচ নারকল তেল মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। এরপর তা আধ ঘন্টা মত চুলে রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। শুষ্ক চুলের জন্য এই মাস্ক বিশেষ উপকার দেবে। বাইরে বেরোলে চেষ্টা করবেন চুলে তেল মেখে না বেরোতে। কারণ, এতে চুলে ধুলোবালি আটকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। রাত্রে শুতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করুন চুল বেঁধে শোবার।
খাদ্যাভ্যাসঃ নানা জিনিস ট্রাই করার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার চেষ্টা করুন। তা আপনার চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখবে। বাইরের খাবার, জাঙ্কফুড যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন এড়িয়ে চলার। চুলের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।