নিজস্ব প্রতিনিধি : বৈশাখ মানেই অশান্ততা।তবে এবার বৈশাখেই যেন মারাত্মক গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা দেশ।স্বস্তির যেন কোন লক্ষণই নেই। আর এই সময় আবহাওয়া বদলের পরিবর্তে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা।একথা বলছে আবহাওয়া দফতর।বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও থাকবে খুব বেশি। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত ঘাম হবে।তবে এই অতিরিক্ত ঘামের কারণে অতিরিক্ত দুর্বল লাগে। একেবারেই কিছু ইচ্ছে করে না। খাবারেও অরুচি ধরে,খাবার ও হজম হয় না অনেকের।
তবে তাপপ্রবাহের কারণে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেকটা লবণ বেরিয়ে যায়। শুধু জল খেলে কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ হয় না। ইলেকট্রোলাইটের মাত্রায় হেরফের হলে পেশিতে টান ধরতেই পারে। ক্লান্ত লাগতে পারে। যাকে ‘হিট এগজরশন’ বলা হয়ে থাকে।তবে অনেকে ভয় পেয়ে যান এতে। তবে এরজন্য শরীরে জলের ঘাটতি পূরণের জন্য জল ও লবণ জল খাওয়া উচিত।
আবার অনেকে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে করতে এই ধরনের উপসর্গ মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। একে হিট স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে। শরীরে তাপমাত্রার হেরফের হলে এমন হয়ে থাকে। তবে এসময় মনে রাখবেন ঠান্ডা তরল পান করা উচিত এবং ডিহাইড্রেশন হওয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
এসময় ঢিলেঢালা, হালকা, হালকা রঙের পোশাক পরুন। ঠান্ডা ফল যেমন শসা, তরমুজ, ডালিম এবং কলা খাওয়ায় উপকারিতা আছে। আপনি হিট স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে, সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।তাপমাত্রা ঠিক কতটা বেড়ে গেল, তা বোঝার জন্য থার্মোমিটার দিয়ে দেহের তাপমাত্রা মেপে দেখা যেতে পারে।