নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘তেজপাতে তেজ কেন? ঝাল কেন লঙ্কায়? নাক কেন ডাকে আর পিলে কেন চমকায়?’ সত্যি বলতে তেজাপাতার তেজেই কিন্তু রান্না অর্ধেক সুবাসিত হয়। জানেন কী এই তেজপাতার তেজেই লুকিয়ে রয়েছে বহু গুণাগুণ? না জানল এখুনি জেনে নিন-
শুধু খাবার রান্নার ক্ষেত্রেই নয় সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও তেজপাতার জুড়িমেলা ভার। তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারলে তা গলায় আরাম দেয়। কন্ঠশিল্পীদের জন্য এ এক অত্যন্ত উপকারী টোটকা।
শুধু কি তাই? ত্বকের যত্ন নিতেও তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। তেজপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জলে মুখ ধুলে ত্বক সুস্থ ও জেল্লাদার হয়। এছাড়াও যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে তাঁরা চন্দন ও তেজপাতা একসঙ্গে বেটে মুখে দাগছোপ ও ব্রণতে মাখলে এই সমস্যা থেকে অচিরেই মুক্তি পাবেন।
বাজারচলতি রুমফ্রেশনার ঘরে স্প্রে করার সঙ্গে সঙ্গে হাঁচি কিংবা কাশির সমস্যা হয়? তাহলে তেজপাতার ব্যবহার করুন। একটি পাত্রে তেজপাতা মিনিট দশেক পুড়িয়ে নিন। তেজপাতা পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধ তৈরি হবে যা একেবারেই ভেষজ ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়।
চুলের জন্যও তেজপাতা বিশেষভাবে উপকারি। কয়েকটি তেজপাতা জলে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর শ্যাম্পু করে এই জল দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কিংবা নারকেল তেলের সঙ্গে তেজপাতা বেটে স্ক্যাল্পে ৩০ মিনিট মত মেখে রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের খুশকি ও নানা সমস্যার উপশম করবে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বিগ্নতা কমাতে তেজপাতা বিশেষ উপকারি। দিনের শেষে তেজপাতার চা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন উপকার পাচ্ছেন এটি স্নায়ু শান্ত করতে সাহায্য করে।