নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শীত এলেই আমবাঙালির লেপ-কম্বল চাই, চাই শীতের দস্তানা, মোজা আর চাই একটু রোদে কমলালেবু খাওয়ার আনন্দ। সঙ্গে থাকে পিকনিকের প্ল্যানিং। বাক্সবোঝাই খাবার রান্না করে নিয়ে গিয়েই হোক আর পিকনিক স্পটে গিয়ে মাংস-ভাত রান্না সবেতেই বাঙালির জুরি মেলা ভার। তাই এই শীতের মরশুমে পিকনিক করতে যাওয়ার প্ল্যান যদি করেন তাহলে জেনে নিন কিছু পিকনিক স্পট সম্বন্ধে-
গড়চুমুকঃ হাওড়ার শ্যামপুরের গড়চুমুক একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। এখানেই রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গেটের অন্যতম আটান্ন গেট। রয়েছে থাকার সু-বন্দোবস্ত। এখানে গেলে অনায়াসে এক দিন কাটিয়ে আসতে পারেন জেলা পরিষদের হলিডে হোমে। একাধিক পদ্ধতিতে এখানে পৌঁছান যায়। গাড়িতে বা ট্রেনে পৌঁছাতে পারেন আপনার গন্তব্যে। উলুবেড়িয়া স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে গড়চুমুকগামী বাসে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
মাইথনঃ শুধু একদিনের পিকনিক নয় বরং উইকেন্ডে দুদিনের ট্রিপ সেরে আসতে পারেন এখানে। দামোদরের তীরে মাইথনের কাছে পাবেন কল্যাণেশ্বরী মন্দির, রয়েছে গাছগাছালিতে ভরা এক অপূর্ব জায়গা। বলা চলে দুদিন প্রকৃতির খুব কাছে থেকে আসতে পারবেন। আসানসোল থেকে মাত্র আট কিলমিটার দূরে মাইথন। গাড়িতে তো বটেই হাওড়া থেকে কুমারধুবি এক্সপ্রেসে পৌঁছাতে পারবেন আপনি আপনার এই গন্তব্যে।
দেউলটিঃ রূপনারায়নের তীরে অবস্থিত দেউলটি কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কলকাতা থেকে গাড়িতে যাতায়াতে সময় লাগে ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট। ইট-কাঠ-পাথরের শহর থেকে দূরে গ্রাম্য পরিবেশে নিরালায় কাটাতে পারবেন একটি দিন।
মাছরাঙা দ্বীপঃ কলকাতা থেকে ১১৩ কিলমিটার দূরে হাসেনাবাদ, টাকী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মাছরাঙা দ্বীপে পরিবারের সঙ্গে পিকনিক করার এক অন্যতম জায়গা। ইছামতি নদির তীরে অবস্থিত এই দ্বীপে গেলে আপনি থাকবেন দুই বাংলার মাঝখানে। অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের মাঝে। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে হাসনাবাদ স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে ফেরিডকের কাছে পৌঁছানোর জন্য মোটর নৌকাগুলি নিতে পারেন। টাকীর ফেরিঘাট থেকে মাছরাঙা দ্বীপে পৌঁছাতে পারবেন। সাধ্যের মধ্যে অসাধারণ একটি বেড়াতে যাওয়ার জায়গা মাছরাঙা দ্বীপ।
ফলতাঃ কলকাতা থেকে মাত্র ৫২ কিলোমিটার দুরত্বে এই পিকনিক স্পট। কলকাতার কাছাকাছি অন্যতম পিকনিক স্পট এটি। গাড়িতে গেলে সময় লাগবে ২ ঘণ্টা। যদি ট্রেনে যান তাহলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চড়ে নামতে হবে ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে। বাসে যেতে চাইলে ধর্মতলা থেকে ফলতা পর্যন্ত বাসও পাবেন। শুধু তাই নয় রান্না ও কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি ফেরার আগে খানিক নৌকা বিহারও করতে পারেন। সবুজের মধ্যে অনায়াসে ভালো হয়ে যাবে মন।