নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতের শেষ ও গরমের শুরু, অর্থাৎ এই সন্ধিক্ষণের নামই বসন্তকাল, ঋতুর রাজা। এই সময়টা যেমন প্রকৃতির মোহময়ী চোখে অদ্ভূত প্রশান্তি দেয়, তেমনি এই সময়টা বিভিন্ন রোগে পড়ার সময়। বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন অসুখ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকেন পক্স বা জল বসন্ত, এই সময়টাতেই ত্বকে ফুটে ওঠে চিকেন পক্স বা জল বসন্ত। যদিও পুরানে এই রোগ গুলিকে শীতলা মায়ের রুষ্ট হওয়ার পর কারণ বলা হয়। কিন্তু এসব ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস না করে বিশেষজ্ঞরা সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। এর পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখেতে হবে।
চিকেন পক্স হলে কী করা উচিত?
এ সময় রোগীর শরীর ঠান্ডা রাখতে স্নান করা উচিত। নিম পাতা ফুটিয়ে সেই জলে স্নান করলে বেশি উপকার মিলবে। নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান পক্স নির্মূল করতে সাহায্য করে। এ সময় বারবার জ্বর এলে প্রাপ্তবয়স্করা প্যারাসিটামল খেতে পারেন, এবং ছোটদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ব্যথার হাত থেকে নিস্তার পেতে রোগীর শরীর বারবার ঠান্ডা জলে মোছান। প্রতিদিন অবশ্যই দু’বেলা করে জামা-কাপড় বদলানো দরকার। সুতি ছাড়া অন্য কাপড়ের পোশাক পরবেন না, তাতে চুলকানি আরও বেড়ে যাবে। তবে পক্সে যাতে নখ না লাগে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তবে বেশি চুলকানি হলে সেক্ষেত্রে অলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
চিকেন পক্স হলে খাবারে কী কী সতর্কতা আনবেন?
এ সময় রোগীকে বেশি ক্যালোরি, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। ইলিশ-চিংড়িজাতীয় মাছ খাওয়াবেন না। এ সময়ে ডালের জল খেলে শরীর খুব ঠান্ডা থাকবে। রোগীকে ফলের রসও খাওয়াতে পারেন, পুষ্টি আসবে। উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক অ্যাসিড থাকার জন্যে জ্বালা-যন্ত্রণা কমবে।
তবে অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। আখরোট, চিনাবাদাম, কিসমিশের মতো খাবার অর্গিনিন নামে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যেগুলি চিকেন পক্সের জীবাণুর কারণ হতে পারে, এগুলো খাবেন না আর চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না।