নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ শিশু দিবস। এই শিশু দিবসে বাড়ির খুদেটিকে অভিভাবক হিসাবে কি শেখাবেন জানুন। তাই চেষ্টা করুন বাচ্ছাকে অবশ্যই সত্যি কথা বলা অভ্যাস করাতে। তার আগে মনে রাখবেন বাড়ির বাচ্ছাটি আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই আপনি নিজেও সত্যি কথা বলুন তার সামনে। বাচ্ছার সামনে সবসময় ইতিবাচক থাকুন। জীবনে সৎ হওয়ার মন্ত্র দিন শিশুকে।
শিশুকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে শেখান। জীবন বড় কঠিন তাই যেকোনো সময় যেকোনো রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলার শিক্ষা দিন বাচ্ছাকে। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার মত ধৈর্যশীলতা শেখান তাঁদের।
প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা দেখাতে শেখান তাঁদের। শিশুরা নরম মনের। ফুল, গাছ পশু পাখি প্রভৃতির প্রতি হৃদয়ের উষ্ণতা দেখাতে শেখান তাঁদের। বোঝান যে প্রকৃতির প্রতিটি জীবেরই মানুষের ন্যায় পৃথিবীতে সমান অধিকার।
শিশুকে সহিষ্ণুতা শেখান। দয়াবান হতে শেখান। অসহায় ও সাহায্যপ্রার্থী মানুষকে অবশ্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নীতি তাকে দিন। ‘ধন্যবাদ’ ‘দুঃখিত’ এই শব্দগুলি প্রয়োজনমত শিশুকে ব্যবহার করতে শেখান।
পরাজয়কে গ্রহণ করতে শেখান শিশুকে। শিশু ব্যর্থ হলে তা সে যেন ইতিবাচক ভাবে নিতে পারে তা শেখা ভীষণভাবে দরকার। তাকে বোঝাতে হবে যে খেলায় হারজিত আছে। তাই এমন হতেই পারে। পরিস্থিতি ও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আগামীর জন্য নিজেকে আরও ভাল করে তৈরি করা জীবনের লক্ষ্য হোক।