এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শীতের ভ্রমণ: মুকুটমণিপুর হয়ে ঝিলমিলির গাছবাড়িতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত ঘেঁষা বাঁকুড়া জেলার অন্যতম সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুর। কলকাতা থেকে এক বা দুদিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলে আপনি ঘুরে আসুন মুকুটমণিপুর ও ঝিলমিলি। নিরিবিলিতে প্রকৃতির অপার শোভা দেখতে দেখতে প্রাণভরে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে চাইলে আপনি এই পথে আসুন। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধটি ‘মুকুট’-এর মতো রহস্যময় টিলা দ্বারা বেষ্টিত। যা কুমারী এবং কংসাবতী নদীর সঙ্গমে অবস্থিত।

পান্না সবুজ রঙের জলের জলাধারটি লালমাটির নেকলেস আকৃতির বাঁধে পরিবেষ্টিত। মুকুটমণিপুর হল ঘন সবুজ বন এবং টিলা ঘেরা এক লুকানো সম্পদ। বাঁকুড়ার খাতরা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে প্রায় ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। মুকুটমণিপুর জলাধার ঘিরে আরও কয়েকটি দ্রষ্টব্য জায়গা আছে। তবে মুকুটমণিপুরের সূর্যাস্ত আজীবন মনে থাকবে। আপনি যদি ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন তবে আপনার জন্য একটি স্বপ্নের গন্তব্য। মুকুটমণিপুরের অন্যতম আকর্ষণ হল নৌকাবিহার। এখানে চাইলে নৌকা করে একেবারে মোহনা পর্যন্ত ঘুরে আসা যায়। তাছাড়াও বিভিন্ন ট্যারিফে নৌকা ভাড়া পাওয়া যায় মুকুটমণিপুরে। নৌকার রেট ২৫০ টাকা থেকে শুরু। মোটামুটি ১০-১২ জন একেকটি নৌকায় বসতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন বিকেলের দিকে নৌকাবিহার করলে সূর্যাস্ত দেখার মজা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

ডিয়ার পার্ক

মুকুটমণিপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বনপুকুরিয়া গ্রামে ডিয়ার (হরিণ) পার্কটি অন্যতম দর্ষণীয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য অবশ্য দ্রষ্টব্য। এখানকার হরিণ হরিণ নিশ্চিতভাবে অবাক চোখে আপনাকে স্বাগত জানাবে। বনপুকুরিয়া গ্রামে অনেকে দূরদূরান্ত থেকে শীতকালে পিকনিকের জন্য় আসেন।

নোয়াডিহি সানসেট পয়েন্ট

নোয়াডিহি সানসেট পয়েন্ট থেকে আপনি সুন্দর একটি সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। নিরাবতা এখানকার ইউএসপি। এখানে সুন্দর একটি বিকেল কাটালে নিজেই নিজেকে খুঁজে পাবেন।

অম্বিকা মন্দির

প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন দেবী দুর্গার এই মন্দির অম্বিকা মাতার মন্দির হিসেবেই খ্যাত। যা অম্বিকানগর গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস মা অম্বিকা খুবই জাগ্রত। একসময় জৈন তীর্থযাত্রীদের কাছে পীঠস্থান ছিল এই অম্বিকানগর। এখনও বহু প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। পাশাপাশি বাঁশ ও বিশেষ প্রজাতির ঘাস দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পের সামগ্রীও পাওয়া যায় এখানে।

বারোঘুটু পাহাড়

বারোঘুটু পাহাড়ে চড়লে আপনি কংসাবতী এবং কুমারী নদীর সংযোগস্থল এবং মুকুটমণিপুর জলাধারের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন। পাশাপাশি সবুজে ঘেরা শীতল এই পাহাড়ে নিরাবতা এবং পাখির কলকাকলি আপনার মন টানবে।

সুতান লেক

ঝিলিমিলি রেঞ্জের মধ্যে সুতান সুতান লেকটি ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে জঙ্গল বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং স্বতন্ত্র ফুল এবং ঋতুকালীন পাখিতে সমৃদ্ধ। মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের মতো হওয়ার কারনে কেবল পর্যটকই নয়, বাইক চালকরাও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। সুতান লেকের রাস্তায় এলে আপনার মনে হতেই পারে আপনি ডুয়ার্সের জঙ্গলে চলে এসেছেন।

ঝিলিমিলি

ঝিলিমিলি এবং সুতান জঙ্গল “বারো মাইলের জঙ্গল” নামেও পরিচিত। যা মুকুটমণিপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার এবং বাঁকুড়া শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্তমান করোনাকালে এই ঝিলিমিলি নির্জন এবং ভিড়ভাট্টাহীন এক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। আদিম অরণ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ ভিউপয়েন্ট রয়েছে। ঝিলিমিলিতে একরাত কাটালে আপনি আজীবন মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন। শাল, মহুয়া, শিমুল ইত্যাদি গাছের পাশাপাশি আমলকি, আম কাঠালের গাছের দেখাও পাবেন। জঙ্গলজুড়ে হাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট রাস্তাও রয়েছে। রিমিল ইকো ট্যুরিজম সেন্টার এখানকার মুকুটের মূল রত্ন। এই সরকারী গেস্ট হাউস প্রাইভেট ইজারা নিয়ে চলে। যা গাছবাড়ি নামেও খ্যাত। ফলে ঘন জঙ্গলের মধ্যে উঁচু গাছের উপর সুন্দর সাজানো গোছানো ঘরে শুয়ে রাতের জঙ্গলের আওয়াজ শোনার অভিজ্ঞতা আপনার জীবনকে সমৃদ্ধ করবেই। আপনি রিমিল ইকো পর্যটন কেন্দ্রে এলে নিখাদ গ্রামের স্বাদ পাবেন। সেই সঙ্গে প্রকৃত জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাও সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন।

কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন?

কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার রেলপথে দূরত্ব ২৩৩ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে রূপসীবাংলা এক্সপ্রেস (১২৮৮৩), আরণ্যক এক্সপ্রেস (১২৮৮৫), কবিগুরু এক্সপ্রেস (১২৯৫০), সমরসতা এক্সপ্রেস (১২১৫২) ইত্যাদি ট্রেন পাবেন। সময় লাগবে কমবেশি সাড়ে তিনঘণ্টা। সড়কপথেও কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার দূরত্ব প্রায় ২১২ কিলোমিটার। ধর্মতলা থেকে রাজ্য পরিবহণ নিগমের এসি ও নন এসি বাস যায় বাঁকুড়া ও মুকুটমণিপুরে।

ঝিলমিলিতে থাকার জায়গা বলতে রিমিল ইকো ট্যুরিজম পার্ক। মুকুটমণিপুরে থাকতে গেলেও সরকারি গেস্ট হাউস বা বেশ কয়েকটি হোটেল ও রিসর্ট আছে। রিমিল ইকো ট্যুরিজম পার্কে থাকতে হলে ক্লিক করুন https://www.bankuratourism.com/rimil-eco-tourism/ এই ওয়েবসাইটে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খেতে খেতে জল খাচ্ছেন বারবার ? জেনে নিন কি বলছেন বিশেষজ্ঞ’রা

সাদা পোশাক থেকে ঘামের হলদেটে দাগ তুলবেন কী করে

গরমের দাপটে গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে ? জেনে নিন কি করবেন

আখের রসের জাদুকরী উপকারিতা

গরম সহ্য না হলে ছুটি কাটাতে ভুলেও যাবেন না এখানে

ভ্যাপসা গরমে ফোন হাতে নিয়ে ভুলেও এই কাজ করবেন না!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর