নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: সদ্য সমাপ্ত বছরে গরমে অনেকেরই নাভিঃশ্বাস উঠেছিল। আচমকা তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষণা অনুযায়ী, ‘সদ্য সমাপ্ত ২০২২ ছিল পৃথিবীর সেরা পাঁচ উষ্ণ বছরের অন্যতম। উনিশ শতকের পৃথিবীর গড় উষ্ণতার তুলনায় গত বছরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গত বছর যে গরমের সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব, সেই গরম লক্ষ্য করা গিয়েছিল ২০১৫ সালে।’
১৮৮০ সাল থেকেই তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু হয়েছিল। ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সালের তাপমাত্রাকে মূলভিত্তি ধরে নাসার গডডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্ট্যাডিজের (জিআইএসএস) গবেষকরা বিশ্বের তাপমাত্রার কীভাবে বদল ঘটছে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ওই গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, যত সময় যাচ্ছে ততই বড় বিপদ ডেকে আনছে উষ্ণায়ণ। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে যেমন ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তেমনই দাবানলের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। শুধু মরুভূমি কিংবা মধ্যপ্রাচ্য নয়-বিশ্বের সব প্রান্তেই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে।
আগামী দিনে উষ্ণায়ণ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন নাসার প্রশাসক বিল নেলসন। তাঁর কথায়, ‘আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটেছে এবং উষ্ণায়ণ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা যথেষ্টই অশনিসঙ্কেত। দাবানলের আগুন সহজে নিভছে না, খরা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে এবং সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। জলবায়ুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পিছনে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাবও দায়ী। গত এক দশকে বায়ুমণ্ডলে এসব গ্যাস রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে।’