নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়াকাটা: পুরীর সমুদ্র সৈকতে বালি দিয়ে একের পর এক নান্দনিক শিল্পকর্মা ফুটিয়ে তুলে গোটা বিশ্বের শিল্প রসিকদের নজর কেড়েছেন শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক। বছর কয়েক আগে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সৈকতে বিশ্বের দীর্ঘতম বালির বুদ্ধ মূর্তি (Buddha Sculpture) গড়ে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আজ সোমবার কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে দুই ঘন্টা ধরে বালি দিয়ে কল্পনার মৎসকন্যাকে ফুটিয়ে তুলে সবাইকে চমকে দিলেন গাজিপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। আর তাঁর সেই নান্দনিক শিল্পকর্ম দেখতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় উপচে পড়েছিল। অনেকেই নান্দনিক শিল্পকর্মটির পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলেছেন। ঢেউ এলেই যেহেতু শিল্পকর্মটি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তাই অনেকেই মৎস্যকন্যার স্রষ্টাকে দিয়ে স্থায়ীভাবে এমন ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
নিজের খেয়ালেই মাটি দিয়ে নানা জিনিস গড়েন গাজিপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। তবে কখনই নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে পেশা হিসেবে ব্যবহার করেননি। এদিন বেশ কয়েকজন বন্ধু নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তার পরে সৈকতে বসেই একটি কাঠি দিয়ে বালির উপরে নিঁখুতভাবে এঁকেছেন স্বপ্নের আর কল্পনার মৎস্যকন্যাকে। মানুষ এবং মাছের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ফুটিয়ে তোলা শিল্পকর্মটি দেখতে অনেকটা নারীর মতো। যার কোমর পর্যন্ত সোনালী চুল। শরীরের উপরিভাগ নারীদের মতো এবং নিচের দিক মাছের মতো লেজযুক্ত।
কীভাবে কল্পনার মৎস্যকন্যাকে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের বালির উপরে ফুটিয়ে তুললেন? প্রশ্নের জবাবে লাজুক হেসে অপূর্ব শিল্পকর্মের স্রষ্টা বললেন, ‘তেমন কোনও প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। ইউটিউব দেখে দেখে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি। কিছুটা বালি সরিয়ে আবার কিছুটা বালি দিয়ে এই মৎস্যকন্যাকে এঁকেছি। মাঝে মধ্যে ময়ুর, আনারসসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি করেছি। এখানে বালি ও একটি কাঠি ব্যবহার করেই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি।’