নিজস্ব প্রতিনিধি: অনশর পর্ব কাটিয়ে ‘সুস্থ’ হয়ে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা রথে চড়ে যান মাসিবাড়ি- গুণ্ডিচা মন্দিরে। তবে জানেন কি দেবী লক্ষ্মীও রথে চড়ে যান গুণ্ডিচা মন্দিরে? তা অবশ্য পতি’র সঙ্গে ঝগড়া করতেই।
অনশর স্থান ছেড়ে মাসিবাড়িতে তিন ভাই-বোন। সেই স্থানে এখন নীলমাধব (জগন্নাথের আদি রূপ)। সঙ্গে লক্ষ্মীদেবী (শ্রী) এবং সরস্বতী দেবী (ভূ)। সেখান থেকে জগন্নাথ নিজে মাসিবাড়ি গেলেন কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন না! এতেই রাগ হয়েছিল পত্নী লক্ষ্মী’র।
রথযাত্রার পঞ্চম দিনে রথে চড়ে (হেরাপঞ্চমী) দেবী আসেন গুণ্ডিচা মন্দিরে। এদিকে জগন্নাথ (JAGANNATHA) দেব বন্ধ করিয়ে দেন মন্দিরের প্রধান দরজা। এরপরে সেবকদের দিয়ে দেবী লক্ষ্মী পাঠিয়েছিলেন বার্তা। ফিরে আসতে বলা হয়েছিল ঘরে। দেবীর (LAXMI) মানভঞ্জন করতে জগন্নাথ তাঁকে পাঠিয়েছিলেন ‘আজ্ঞামালা’ এবং ‘লক্ষ্মীবিলাস’ মিষ্টি। এর ওপর নাম ব প্রসন্নভোগ। জানিয়েছিলেন, ফিরে যাবেন নবম দিনে। তবে ‘মান’ কি এত সহজে ভাঙে? তাই দেবী তাঁর সেবকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পতি’র রথ ‘একটু খানি’ ভাঙার। এরপরে তা দেখে প্রিয় মিষ্টি খেতে খেতে ফিরে গিয়েছিলেন নিজ গৃহে। আর নবমদিনে রথে করে নিজঘরে ফেরেন দেব। এই প্রথা আজও বিদ্যমান।